জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র: সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় জিয়া হল ভেঙে সেই স্থানে নতুন ভবন তৈরি করে ‘৬ দফা ভবন’ নাম করার দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। স্থানটি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণার স্মৃতিবিজড়িত স্থান উল্লেখ করে তিনি এ দাবি জানান। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নে শামীম ওসমান এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।


সাংসদ শামীম ওসমানের এই বক্তব্যেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, সাংসদ শামীম ওসমানের এই বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ হৃদয়ে আঘাত পেয়েছে। তিনি যে বালুর মাঠের কথা বলেছেন সেটা আর জিয়া হল এক স্থান নয়। বালুর মাঠ জিয়া হল থেকে অনেকটাই দুরে। বালুর মাঠের অজুহাত দিয়ে জিয়া হল ফেঙ্গে ফেলার বক্তব্য একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে সরকারী দল এই ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


সাখাওয়াত বলেন, বিএনপির উপর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ তা ভালো চোখে দেখবে না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার স্মৃতি বিজড়িত নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জিয়া হল ভেঙ্গে ফেলা হবে নৈতিকতা বিরোধী সিদ্ধান্ত।


প্রসঙ্গত, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নে শামীম ওসমান বলেন, ‘যারা জাতির পিতার ৬ দফার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই সিনিয়র নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জাতির পিতা নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। ‘বালুর মাঠ’ নামে সেখানে একটি মাঠ ছিল। ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি (বঙ্গবন্ধু) গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই স্মৃতি ভুলিয়ে রাখতে সেখানে ‘নারায়ণগঞ্জ মিলনায়তন’ নামে একটি অডিটোরিয়াম করেন। আমরা বাধা দিয়েছিলাম, মার খেয়েছিলাম, আমাদের মধ্যে অনেকে জেলেও গিয়েছিল। কিন্তু আমরা ঠেকাতে পারিনি।’


তিনি বলেন, তারপর খালেদা জিয়া এসে সেটাকে আবার ‘জিয়া হল’ নাম দেন। তার (জিয়ার) একটা বিশাল ছবি টানিয়ে পাথরের মূর্তি দিয়ে ওখানে রাখা হয়েছে। এই জায়গাটি হচ্ছে জেলা প্রশাসকের অধীনে। জাতির পিতার পদচিহ্ন ওখানে পড়েছিল। ৬ দফা আমাদের স্বাধীনতার সনদ ছিল।

শামীম ওসমান মন্ত্রীর (স্থানীয় সরকার) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই, ওখানে- নারায়ণগঞ্জে আপনার তত্ত্বাবধানে, জেলা পরিষদের মাধ্যমে একটি ভবন হোক এবং সেই ভবনের নাম ‘৬ দফা ভবন’ রাখা হোক। এ ব্যাপারে আমরা একটি চিঠি আপনাকে দিলে, আপনি দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করবেন কি না।’এই দাবি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি বলেও সংসদে উল্লেখ করেন শামীম ওসমান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ