মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপ তিন টুকরা!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদনের পর থেকেই একটা পক্ষ বিদ্রোহ করে আসছে। বিএনপির বিতর্কিত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বাধীন সেই বিদ্রোহী গ্রুপে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মুকুলের পাশ থেকে সরে গেছেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। মুকুলের বিদ্রোহী গ্রুপে আর দেখা যাচ্ছেনা সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান অনুসারীদেরও। তারাও আলাদা প্লাটফরমে কর্মসূচি পালন করছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপ ভেঙ্গে তিন টুকরা হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির বিরোধীতা করেন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল। তাদের সাথে যোগ দেন সাবেক যুবদল সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান অনুসারিরা। কমিটি ঘোষনার পরপর তারা একসাথে বেশ কিছু কর্মসূচিও পালন করেন। এমনকি বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে তার হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুকুলবাহিনী।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের সেই সুসম্পর্কে আবারো ফাটল ধরতে শুরু করে। বিশেষ করে এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তার ভাই সাব্বির আলম খন্দকারের হত্যার বিচার কাজ নিয়ে সরাসরি জাকির খানের বিপক্ষে অবস্থান নেন। জাকির খানকে খুনি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। সেই থেকে মুকুলের বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে সরে আসেন জাকির খান অনুসারীরা। তৈমূর ও খোরশেদও তাদের বলয় আলাদা করে ফেলেন। অতি সম্প্রতি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে তিন গ্রুপকে আলাদা আলাদা দেখা গেছে। তাছাড়া ১০ দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতেও মুকুলের সাথে ছিলেন না জাকির খান ও খোরশেদের লোকজন। আর এভাবেই বিদ্রোহের মাত্র চার মাসেই ভেঙ্গে তিন টুকরা হয়ে গেলো মুকুলের ‘বিদ্রোহী গ্রুপ’।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ