না:গঞ্জে সরব হচ্ছেন ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীরা

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নামতে শুরু করেছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যানরা পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। কিন্তু ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন নতুন প্রার্থীরা। আর বর্তমান চেয়ারম্যানরা প্রভাবশালীদের সাথে লবিং করতে ব্যস্ত রয়েছেন। আগামী মার্চ মাসে সদর উপজেলার কাশীপুর, এনায়েতনগর, বক্তবলী, কুতুবপুর, গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাগেছে। তাই হাতে সময় না থাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে গতবারের মত এবারও কাশীপুরের এম. সাইফুল্লাহ বাদল, আলীরটেকে মতিউর রহমান মতি ও বক্তবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী পুনরায় বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যদিও ক্ষমতার দাপটে সেটাই সম্ভব করবেন-এমনটাই দাবী করেছেন তাদের ঘনিষ্টজনরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মন জয় করতে বিদেশে ছুটে গিয়েছেন আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি। সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ভোটারদের পছন্দের তালিকায় থাকলেও প্রভাব খাঁটিয়ে গতবারের মত এবারও বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মতি। কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদল নির্বাচন নিয়ে এখনো কিছু বলেননি। অসুস্থ থাকার কারণে তিনি নির্বাচন করার অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিই নির্বাচন করেন কিনা এনিয়েও প্রশ্ন রয়েছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইউনিয়ন পরিষদে সময় দিতে পারেন না তিনি। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে গত এক বছরে তিনি ১৫ দিন অফিসে গিয়েছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন স্থানীয়রা। তাই নতুনদের সুযোগ করে দিতে সাধারণ ভোটাররাও দাবী জানিয়েছেন। যদিও এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমেন সিকদার গোপনে গোপনে নির্বাচনে মাঠে রয়েছেন।

বক্তবলী ইউনিয়ন এলাকায় একক কতৃত্ব¡ চালিয়ে যাচ্ছেন শওকত আলী। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন এই বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা। এলাকাবাসীর কাছেও তার বেশ সুনাম রয়েছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বক্তবলীতেও আগামী নির্বাচনে দলের যোগ্য অন্য কাউকে সুযোগ করে দেয়ার দাবী উঠেছে।

এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের প্রতি সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত। গত পাঁচ বছরে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন- এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় ভোটাররা। ভোটারদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি হয়েও জনস্বার্থে কাজ করতে আসাদুজ্জামানের অনীহা। তবে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ভূইয়া। দলের দু:সময়ে রাজপথ কাঁপানো নেতা মাসুদ ভূইয়া এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে মাসুদ ভূইয়া’র ঘনিষ্টজনরা জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সাধারণত তিনি সব সময়ই মানুষের সেবা করে থাকেন। তো নির্বাচনকে সামনে রেখে আলাদা ভাবে তিনি মাঠে নামেননি। তবে ভোটাররা চাইলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।

গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদেরে চেয়ারম্যান নওশেদ আলীর মৃত্যুর পর তার ভাই ফজর আলী নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। কুতুববপুর ইউনিয়নে মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপির নেতা হলে গত নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও সেই পরিকল্পনায় করছেন তিনি। তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জসিম উদ্দিন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ