নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সাংসদ শামীম ওসমানের অভিযোগের জবাব দেননি ডিস এসপি। এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন ‘নো কমেন্টস’ আর একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
এদিকে গত ২৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাক ও পুলিশ সুপারের সমালোচনা করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সংসদে নালিশ দিবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। শামীম ওসমানের এই বক্তব্যের পরে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এর আগে নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমান ডিবি প্রধান হারুন উর রশিদের সাথেও মত বিরোধ লক্ষ্য করা গিয়েছিলো। সেই একইভাবে আবারো নারায়ণগঞ্জের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এই সংসদ সদস্য। এর নেপথ্য কারন নিয়ে তাই সকল মহলে চলছে জল্পনা কল্পনা।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ জানুয়ারি)নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সমালোচনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা বন্ধে আয়োজিত সমাবেশ উপস্থিত না হওয়ায় তাদের সমালোচনা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এরপরও তারা কেন আসেননি, তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইব। মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারও দয়ায় চলি না। নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, অনেকেই অনেক কিছু করেন, আমরা সব দেখি। নারায়ণগঞ্জের টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ীতে আর কেস দেখান ফতুল্লাতে। সাংবাদিকরা আমাদের অনেক কিছু জানান। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করবো। এখানে উপস্থিত অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন যে ডিসি, এসপি কেন আসেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ।