দুই আসনে তৎপর চারজন

নারায়ণগঞ্জ মেইল: চলছে নির্বাচনের বছর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে নারায়ণগঞ্জে দল গুছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। সরকারী দল আওয়ামীলীগের নেতারা পুরোদমে মাঠে নেমে পরেছেন। বিএনপি নেতারাও আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি নির্বাচনের জন্যে সম্ভাব্য প্রস্তুতিও সেরে ফেলছেন। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ দুটি আসন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দরের নির্বাচন প্রার্থী দুই দলের নেতারাই রাজপথে সরব অবস্থানে আছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তৃণমূলকে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে শক্তি ফেরাতে বিভিন্ন ইউনিট কমিটিগুলো পূনর্গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংসদ একেএম শামীম ওসমান আবারো এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। শামীম ওসমানও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন, তৃণমূলকে উজ্জীবিত করছেন। সেইসাথে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রকৃয়া চলমান রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের মধ্যে সাংসদ শামীম ওসমানের কর্মীবাহিনীই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে এগিয়ে রয়েছ।

একই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মাঠ গুছাচ্ছেন সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির আহবায়ক মো: গিয়াসউদ্দিন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: গিয়াসউদ্দিনের রয়েছে এ আসনে শামীম ওসমানকে পরাজিত করার অভিজ্ঞতা। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মো: গিয়াসউদ্দিন নারায়য়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও এ নির্বাচনের কিছুদিন আগে পর্যন্ত গিয়াসউদ্দিন আওয়ামীলীগেরই প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। এই শামীম ওসমানের কারনেই এ আসন থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে তিনি নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিএনপিতে যোগ দেন এবং বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমানকেই পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মহাজোটের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান আবারো এ আসনে লড়বেন সেটা প্রায় নিশ্চিত। তার দল জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটে রয়েছে। তাছাড়া এ আসনে সেলিম ওসমান একজন জনপ্রিয় সাংসদ, সকলের কাছে দানবীর নামে পরিচিত। বহু স্কুল কলেজ সেবা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার বিশাল অনুদান। তাই এ আসনে তার বিকল্প কেউ দেখছেনা। যদিও প্রতি নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা এ আসনটি নৌকার প্রার্থীকে দেবার দাবি করে থাকেন। কিন্তু এবার সে আওয়াজও আসছে না। তাই সেলিম ওসমান নির্বািচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

একই আসনে বিএনপির প্রতীকে মেয়র নির্বাচন করা আইনজীবী নেতা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন গণদাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে দাড়িয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সকলের সাথে রয়েছে তার আন্তরিকতার সম্পর্ক। তাছাড়া আদালতপাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভরসার নাম এডভোকেট সাখাওয়াত। মামলা হামলায় আক্রান্ত নেতাকর্মীদের বিনামূল্যে আইনী সেবা প্রদান করে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনী সেবা প্রদানে তিনি পক্ষ বিপক্ষ বিবেচনা করেন না। তাই বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে একটি গোঁপন ভালোবাসা রয়ে গেছে। আর তাই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি নির্বাচনের বিষয়টিও মাথায় রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ