নারায়ণগঞ্জ মেইল: দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো। সেই বহিস্কৃত এবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন করেছেন আর তার সাথে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মীকে। বহিস্কৃত নেতার সাথে দলীয় কর্র্মসূচি পালন করায় এসব নেতাকর্মীরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে মনে করে তৃণমূল।
ক্ষুব্দ তৃণমূল জানায়, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার সাথে বিএনপির আর কোনো সম্পর্ক নেই। তৈমূরের সাথে বিএনপির যে কোনো দলীয় কর্মসূচি পালন করলে দলীয় সিদ্ধান্তকে অসম্মান করা হবে। আর সে কাজটিই করেছে তারা। তারা সরাসরি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এ জন্যে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
ঘটনা সূত্রে প্রকাশ, বিএনপির পপ্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৩০ মে থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূূর আলম খন্দকার। তার নেতৃত্বে পালিত এসব অনুষ্ঠানে দেখা মিলেছে নারায়য়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ভভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ: সবুর সেন্টু, সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, রানা মুজিবসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীর। নারায়ণগঞ্জের সদর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এসব কর্মসূচি কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে করে বিএনপি ও যুবদলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যে তৈমূর আলম দলের চেয়ে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন তার সাথে কোনো বিএনপির নেতাকর্মী থাকতে পারে না, যারা থাকবে তারাও তৈমূরের মতো লোভী ও স্বার্থপর বলে বিবেচিত হবে। তাদেরকেও দল থেকে বহিস্কার করা উচিত- এমনটাই মনে করেন জিয়ার আদর্শে উজ্জিবীত তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোমের সিদ্ধান্তে বহিস্কৃত নেতার সাথে দলীয় কর্মসূচি পালন করায় দলীয় সিদ্ধান্তকে অবমাননা করা হলো কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি নারায়য়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি সাারা বাংলাদেশের নেতা। তার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান যে কেউ পালন করতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলে নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে চলা উচিত।