খোকার মাথাব্যাথা কায়সার, মান্নানের স্বপন

নারায়ণগঞ্জ মেইল: ২০২৩ সালকে ধরা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। অনেকে মনে করছেন পট পরিবর্তনের মৌসুম। সরকারী দলের নেতারা ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। অপর প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তাদের কর্মীবাহিনীকে গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন। যে কোনো সময়ে নির্বাচনের ঘোষনা এলে যাতে ঝাপিয়ে পরা যায় সে কারনে ভিতরে ভিতরে তারাও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের বর্তমান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা তার আসন টিকিয়ে রাখতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খোকার স্বপ্ন পূরনের পথে প্রধান অন্তরায় হিসেবে এবারো দেখা দিতে পারেন স্থানীয় সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত। গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খোকার ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন কায়সার। যদিও রহস্যজনক কারনে নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন কায়সার। এবারো খোকার আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্যে উঠেপরে লেগেছেন কায়সার। মহাজোট থেকে লিয়াকত হোসেন খোকার মনোনয়ন পেতে তার মাথাব্যাথার কারন হয়ে উঠেছেন আওয়ামীলীগের কায়সার হাসনাত।

অপরদিকে বিএনপি থেকে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়েছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান। এবারো এ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। যদিও এবার আর বিনা যুদ্ধে ধানের শীষ পাচ্ছেন না তিনি। দলীয় প্রতীকের জন্যে এবার তাকে লড়তে হচ্ছে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সহিদুর রহমান স্বপনের সাথে। আজহারুল ইসলাম মান্নান তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সহিদুর রহমান স্বপনকে ঠেকাতে। সোনারগাঁ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকলকে নিজের বশে আনতে পারলেও সহিদুর রহমান স্বপন তার নিজ মেধা ও দক্ষতায় রাজনৈতিক ময়দানে এগিয়ে চলেছেন। তাই এই মুহূর্তে সোনারগাঁয়ে স্বপনকেই নিজের প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করছেন এবং আগামীতে সোনারগাঁয়ে এমপি মনোনয়নের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছেন মান্নান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ