নারায়ণগঞ্জ মেইল: আড়াইহাজারে সহিংসতা ঘটনায় মামলায় নিরপরাধ বয়স্ক পিতা আঃ মজিদ ভূঁইয়া এবং ছোট ভাই পাঁচরুখী দারুল হাদিস ছালাফিয়া মাদরাসার শিক্ষক ইলিয়াস ভূঁইয়া ও ছোট ভাই আয়েশা মটরস পার্টসের ব্যবসায়ী ইয়াকুব ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া।
আড়াইজাহার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি যুবদলের রাজনীতি করি। আমার বয়স্ক পিতা ও ছোট দুই ভাই রাজনীতি করে না। রাজনীতির সাথে তাদের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ত নেই। আমার পিতা একজন বয়স্ক মাসুষ এবছর পবিত্র হজ্ব পালন করে এসেছে। আর দুই ছোট ভাই ইলিয়াস ভূঁইয়া পাঁচরুখী দারুল হাদিস ছালাফিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও আরেক ছোট ভাই ইয়াকুব ভূঁইয়া আয়েশা মটরস পার্টসের ব্যবসায়ী।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র বিএনপি’র রাজনীতি করার অপরাধে আমার কারনে আজকে আমার নিরপরাধ পিতা ও দুই ভাইকে একটি মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। রাজনীতিভাবে আমাকে দমন করতেই বাবা ও দুইকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বিনা অপরাধে আজকে আমার বয়স্ক পিতা ও দুই ভাইকে ফেরারি জীবনযাপন করছেন।
ছনপাড়া এলাকাবাসীরা জানান, আঃ মজিদ ভূঁইয়া একজন ভালো মানুষ। তার বড় ছেলে খোরশেদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ছোট দুই ছেলে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আরেকজন ছনপাড়া স্ট্যান্ডে গাড়ির পার্টসের ব্যবসা করে। আঃ মজিদ এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত।
তাঁরা আরও জানান, গত ১ নভেম্বর ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আঃ মজিদ ভূঁইয়া ও ছোট দুই ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষক ইলিয়াস এবং পার্টসের দোকানদার ইয়াকুব জড়িত না। খোরশেদের কারনেই তার বাবা ও দুইকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি।
জানাগেছে, গত ১ নভেম্বর বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় ৬সদস্য পুলিশসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ঘটনা ঘটে।
পরে আড়াইজাহার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মহসিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে হুকুমের আসামি করে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলায় দায়ের করে। এই মামলায় আড়াইজাহার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়ার পিতা মো. আঃ মজিদ ভূঁইয়াকে ৪১নং নম্বর, খোরশেদ আলম ভুঁইয়াকে ৪২নং নম্বর, ইলিয়াস ভূঁইয়াকে ৪৩নং নম্বর, ইয়াকুব ভূঁইয়াকে ৪৪নং নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।