বহিষ্কার হচ্ছেন তৈমুর!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হতে পারেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার- কেন্দ্রীয় বিএনপি’র একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এমনটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে দলীয় সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

সূত্র মতে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী দেয়নি তারা। নাসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হলে পাঁচ বিএনপি নেতা মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন কিন্তু দলের সবুজসংকেত না পাওয়ায় চারজন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন অথচ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তৈমুরের মত শীর্ষ বিএনপি নেতার এ ধরনের অস্বাভাবিক আচরণে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তৈমুরের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় থাকা না থাকা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা কাজ করছে তাদের মাঝে। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিএনপি’র হাই কমান্ডকে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে যে বর্জনের প্রক্রিয়া চলে আসছে, নারায়ণগঞ্জে এসে তা মুখ থুবরে পড়েছে শুধুমাত্র তৈমূরের কারণে। আর তাই তৈমুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম।

সূত্র আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের প্রার্থী হওয়ার পেছনে সরকারি দলের একটি প্রভাবশালী পরিবারের ইন্ধন রয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে যে গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে, তা ভাসতে ভাসতে লন্ডন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে এবং সেখান থেকেই তৈমূরকে থামিয়ে দেয়ার নির্দেশনা এসেছে। তাই আগামী ২৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে তৈমুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত এখন প্রায় চূড়ান্ত। এখন দেখার বিষয় কি করেন তৈমুর। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন নাকি দলীয় পদ পদবী বিসর্জন দিয়ে প্রেসক্রিপশন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়ে যান।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত বছরের ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। এরপর আর জাতীয় সংসদের কোনো উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে তারা অংশ নেয়নি। গত মার্চে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ