আলীরটেকবাসীর ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিলেন সায়েম

নারায়ণগঞ্জ মেইল: আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জের ৩টি উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সকল কার্যক্রম শেষ, এমনকি হয়ে গেছে প্রতীক বরাদ্দ। এখন আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। সেইসাথে ভোটাররাও ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণে।

এদিকে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের জনগণ ভোট দিতে পারবে- এই আনন্দে আত্মহারা। গত নির্বাচনে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাদের ভোটের অধিকার ক্ষুন্ন হয়ে গিয়েছিলো। তাই এবার ভোট দিতে উন্মুখ হয়েছিলেন তারা। ইউনিয়নবাসীর সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিলেন তরুণ উদীয়মান সমাজসেবক সায়েম আহমেদ। সরকারদলীয় প্রার্থী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সায়েম। আনারস প্রতীক নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে বীরদর্পে লড়াই করবেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়নে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে সাধারণ জনগণ। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন মতিউর রহমান মতি। সেবার ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন এলাকাবাসী। তাই এবার তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। স্থানীয় জনসাধারণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবার নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক তরুণ উদীয়মান নেতা সায়েম আহমেদ। সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি হয় তাদের ভোটের দাবি পূরণের লক্ষ্যে তিনি নির্বাচনের মাঠে এখনো বলিষ্ঠভাবে রয়েছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে এবারও চাইছেন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে। তাই ছলে-বলে-কৌশলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। সেজন্য আলীরটেক ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নিজ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানারূপ সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। আর এর দায় চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েম আহমেদের উপরে। যাতে করে ভয় পেয়ে সায়েম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান- এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

তবে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সায়েম আহমেদ। ইতিমধ্যেই তিনি সরকারি আটটি দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে। তাছাড়া সাধারণ ভোটারদের কাছে তার রয়েছে বিশাল গ্রহণযোগ্যতা। যদি পেশী শক্তির ব্যবহার না হয়, মানুষ যদি মন খুলে ভোট দিতে পারে- তাহলে সায়েম আহমেদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ