নারায়ণগঞ্জ মেইল: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি’র বহিস্কৃত নেতা মনিরুল আলম সেন্টু। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সেন্টু কখনো আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেননি। তারপরও তার হাতে নৌকা দেখে হতভম্ব স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে কুতুবপুর আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। আওয়ামী লীগের জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জে বিএনপি’র হাতে নৌকা- এটা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
সূত্রে প্রকাশ আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক এই ১৬টি ইউনিয়নের নৌকার মাঝি চূড়ান্ত করা হয়। এতে দেখা যায় সদর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় এবং বেশি ভোটার অধ্যুষিত এলাকা কুতুবপুরে দলীয় প্রতীক নৌকা খুলে দেওয়া হয়েছে এমন একজনের হাতে যিনি কোনদিন আওয়ামী লীগ করেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের যোগদানও করেনি, সেই মনিরুল আলম সেন্টু এক সময় বিএনপি করতেন। বিএনপি করে বিএনপি’র দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল। বিএনপির সেই বহিস্কৃত নেতার হাতে এবার তুলে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা। এটা সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য চরম হতাশার ও লজ্জার বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
কুতুবপুর আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সাথে জানান, এখানকার আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাই সামান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নিজ দলে কোনো যোগ্য নেতার খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্য দল থেকে হায়ার করে এনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দিতে হয়। এ লজ্জা শুধু কুতুবপুরবাসির নয়, এই লজ্জা নারায়ণগঞ্জের, এ লজ্জা সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার হাতে নৌকা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।