যখন যাকে প্রয়োজন!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের দ্বন্দ্ব কাছে লাগিয়ে কতিপয় সুবিধাবাদি আওয়ামীলীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে আসছেন। যখন যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই তালিকায় থাকা একজন হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। কখন মেয়র আইভীর লোক আবার কখনো সাংসদ শামীম ওসমানের লোক পরিচয় দিয়ে শহর বিভিন্ন সেক্টর দখর করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ফেস্টুন করেন কাউন্সিলর রুহুল। সেই ফেস্টুনে মেয়র আইভীর ছবিও ব্যবহার করেন। এরআে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠি বার্ষিকী উপলক্ষে যে ফেস্টুন করেছিলেন সেখানে সাংসদ শামীম ওসমানের ছবি ব্যবহার করেছিলেন। মূলত বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রন করতে দুই বলয়ের নেতাদের সাথেই সুসম্পর্ক রেখে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন কাউন্সিলর রুহুল।

স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, ভূমি দস্যুতা, ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রনসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে আগামী নির্বাচনে পরিবর্তন চাচ্ছে ৮নং ওয়ার্ডবাসী। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই কাউন্সিলর রুহুলের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করছেন এনায়েতনগর পশ্চিম পাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। মামলার ঠিক দুইদিন আগে গত ১৭ জুলাই কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার সহযোগী মমিনুল আলম পুষণ ওরফে বাবা পুষণকে (৩৩) মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এলাকাবাসী জানায়, একাধিক মামলার আসামী বাবা পুষণ কাউন্সিলর রুহুলের ছত্র ছায়ায় পশ্চিম এনায়েতনগর ও লাকী বাজার এলাকায় জমজমাট ইয়াবা ও জুয়ার আসর চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। প্রায় ৮/৯ মাস আগে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা’র আপন বড় ভাই খোকন মোল্লা এক ভিডিও বার্তায় দাবী করেছিলেন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মাদক ব্যবসা করেন। ৮নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাউন্সিলর রুহুলের পক্ষে খোকন মোল্লা হিসাব রাখতেন এবং মাদক ব্যবসার টাকা রুহুলের হাতে পৌঁছে দিতেন। বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করেছে কাউন্সিলর রুহুল-এমন একাধিক ভোক্তভোগীর ভিডিও পাওয়া গেছে। মীলত নানা বিতর্কের পরও বহাল থাকায় কাউন্সিলর রুহুলের দাপট দিন দিন বাড়ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ