নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাতবার্ষিকী ছিলো গত ৩০ মে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন প্রায় এক সপ্তাহ যাবত নানা আয়োজনে দিনটি পালন করেছে। অথচ নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অভিভাবক সংগঠন জেলা বিএনপির ব্যানারে কোথাও কোন কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন থানা কিংবা ইউনিটের ব্যানারে মিলাদ দোয়া কিংবা রান্না করা খাবার বিতরণ করা হলেও মূল সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি পালন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এমনকি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজিবও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
এদিকে জেলা বিএনপির ব্যানারে কোন অনুষ্ঠান পালন না করলেও জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে দেখা গেছে মহানগর বিএনপির আওতাভুক্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মসূচিতে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে। জেলা বিএনপির অন্তর্গত প্রত্যন্ত এলাকাগুলির কোথাও যাননি আহবায়ক তৈমূর। জেলার রূপগঞ্জ আড়াইহাজার সোনাগাঁয়ের কোন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। অথচ মহানগরের আওতাধীন সদর বন্দর আর সিদ্ধিরগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে দেখা মিলেছে তৈমূরের। মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালামের এলাকায় এড. তৈমূরের এই ঘুরে বেড়ানোকে ভালো চোখে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে নিজ সংগঠনের ব্যানারে কোন কর্মসূচি পালন না করে এভাবে অন্যের প্রক্সি দেয়াটা কোনভাবেই সুস্থ্য রাজনৈতিক চর্চা হতে পারেনা বলে অভিমত তাদের।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও এড. আবুল কালামের মাঝে সম্পর্ক অতীতে ভালো না থাকলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর কারনে অনুরাগের বরফ কিছুটা গলতে শুরু করেছে। সূত্র মতে, মহানগর বিএনপির কমিটি যে কোন সময় ভেঙ্গে দেয়া হতে পারে জেনে নিজ ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি বানানোর লোভে কালামের সাথে হাত মিলিয়েছেন সুচতুর তৈমূর। এছাড়াও আসন্ন মহানগর যুবদলের কমিটি নিজ বলয়ে রাখতেও তৈমূর-কালাম সকল ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন বলেও জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খুব একটা অংশগ্রহন করেন না। এমনকি নিজ বড়িতে আয়োজিত মিলাদ দোয়ার অনুষ্ঠানেও তিনি থাকেন অনুপস্থিত। এ কারনে এবার আবুল কালামের হয়ে মহানগরের অনুষ্ঠানগুলোতে প্রক্সি দিয়েছেন এড. তৈমূর। স্থানীয় রাজনীতিতে অস্তিত্ব সংকটে পরা এড. আবুল কালামকে টেনে তোলার কাজ করছেন তৈমূর। কিন্তু বিধি বাম, কালামকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য ধরে ফেলেছেন নেতাকর্মীরা। ইতিপূর্বেও স্বার্থের প্রয়োজনে তৈমূর আলম অনেককে কাছে টেনেছেন আবার স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। তাই তৈমূরের এই স্বার্থপর রাজনীতি সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান তৃণমূলের।