নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে অপহরনের চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে তার আদালতপাড়ার চেম্বার থেকে মাইক্রোবাস যোগে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জোর করে এড. সাখাওয়াতকে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। তবে আইনজীবীদের প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও একজন ধরা পরে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা এড. সাখাওয়াতকে রক্তাক্ত জখম করে। সে সময় আইনজীবীদের হাতে আটক হন নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় এড. তৈমূর আলম খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আইনজীবী এড. শহিদ সারোয়ার। উপস্থিত আইনজীবীরা শহিদ সারোয়ারকে গণ ধোলাই দেয়।
এদিকে এই অপরহরন চেষ্টার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের মাঝে। সেইসাথে এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কারা সে বিষয়ে চলতে থাকে বিশ্লেষন। সে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের পরিকল্পনায় ঘটে এ অপহরনের ঘটনা। কাউন্সিলর খোরশেদ সম্পর্কে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই আর অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে হাতেনাতে আটক হওয়া এড. শহিদ সারোয়ার এড. তৈমূর আরম খন্দকারের অনুসারি।
আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়, এড. শহিদ সারোয়ার ড্রাগ এডিক্টেড, কিছুটা পাগলাটে ধরনের। আর এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন ধুরন্ধর খোরশেদ। বর্তমানে নারী কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত খোরশেদ এড. সারোয়ারকে ব্যবহার করে সাখাওয়াত হোসেন খানকে অপহরন করতে চেয়েছিলেন। কারন খোরশেদ নিজেও একজন মাদকাসক্ত বলে ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। খোরশেদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্লিনম্যান ইমেজের অধিকারী এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে রক্তাক্ত হতে হলো বলে ক্ষোভ নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের।