নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া একটি ষ্টেটাস বেশ আলোড়ন তুৃলেছে। বাংলাদেশের প্রধাণ দুইটি রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রধাণদের নিয়ে করা সে ষ্টেটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।
রাজিব লিখেন “সত্য মিথ্যার দোলাচলে বাংলাদেশ। সবসময় একটা কথা শুনে আসছি সেই বুঝার বয়সের পর থেকেই যেটা হলো বিএনপি পাকিস্তান প্রেমি আর আওয়ামীলীগ ভারত প্রেমি। যার শুরুটা হয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পর পরিপূর্নতা পেয়েছে বিএনপি গঠিত হওয়ার পর।”
“এই দক্ষিন এশিয়ায় ভারত সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক রাষ্ট্র এতে কোন সন্দেহ নেই তাদের সব কৌশলই দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতীক দল বিবেচ্য বিষয় নয়।ভৌগলিক ভাবে ভারতের দুই প্রান্তে পাকিস্তানের অবস্থান কখনোই তাদের জন্যে স্বস্তিদায়ক ছিলনা এবং প্রথম থেকেই এ থেকে পরিত্রানের উপায় খুজতে ছিল নিজ দেশের স্বার্থের কথা ভেবেই।”
“দেশ বিদেশের বিভিন্ন বই পরে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যেটা উপলব্দি করতে পেরেছি সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্ব থেকে চলাকালিন সময়ে মরহুম শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত একক নেতা সেই সময়ে উনার কথা বা দাবির প্রতি সমর্থন ছিল প্রায় ৯৭% মানুষের। ৭০ এর ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনের ফলাফল তারই ধারাবাহিকতার অংশ। উনি চেয়েছিলেন বাংগালী জাতির মুক্তি(অর্থনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতি, সবকিছুর)কিন্তু সেটা পাকিস্তানকে দিখণ্ডিত করে নয় বরং অখণ্ড রেখে। যার কারনেই অনেক অনুরোধ করার পরও স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রে উনার সাক্ষর নিতে পারেন নি তাজউদ্দিন সাহেব যেটা ছিল ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী এবং স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সৌজন্যতার পর প্রথম বাক্যই ছিল আপনার সৈন্য কবে সরাবেন কাজেই কোনভাবেই প্রমান হয়না যে উনি ভারত প্রেমি ছিলেন বরং রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর পাকিস্তান সফর করতে গেলে ভারত আপওি করলে তিনি তীর্যক ভাবে তা প্রথ্যাখান করেন।এ থেকে প্রতিয়মান হয় উনি ভারত প্রেমি ছিলেন না বরং উনাকে পাকিস্তান প্রেমি বললে দোষের কিছু হবেনা।”
“পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্টাতা এ দেশের মানুষের মুক্তির কথা চিন্তা করে পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তা হয়ে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ন হলেন। দিখণ্ডিত হলো পাকিস্তান বাংলাদেশ স্বাধীন হলো বিরাট উপকার হলো ভারতের।এক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান কে ভারত প্রেমি বললে খুব দোষের কিছু হবে বলে মনে করিনা কিন্ত পাকিস্তান প্রেমি বললে সেটা অবশ্যই ভুল ও অন্যায় হবে।”
“একটি সত্যকে ঢাকতে হাজারটা মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় যা আমাদের এই দেশে অবিরত চলছে চলতে চলতে তার পরিমান পাহাড়ের উচ্চতাকেও পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে অবিরামভাবে। হয়ত একসময় গ্রিনীজ বুকে স্থান হবে সবচে বেশি ইতিহাস বিকৃতকারী ও মিথ্যাবাদী শাষকের রাষ্ট্র হিসেবে।”
“সবশেষে ৩০লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করি। আর সত্য প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে যাতে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে সনসময় সচেষ্ট থাকতে পারি সেই দোয়ার প্রত্যাশা রেখে যেতে চাই সকলের কাছে।ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।”