নারায়ণগঞ্জ মেইল: ঘনিয়ে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্ভাব্য নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচনের দাবিতে সবচেয়ে সোচ্চার দল হচ্ছে বিএনপি। সারাদেশে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির। যদিও নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচনের মাঠ গুছাতে শুরু করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এমপি প্রত্যাশীরা।
সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জের ৫টি নির্বাচনী আসনে প্রায় ডজনখানের মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও জনগনের কাছাকাছি গিয়ে জনসম্পৃক্ততা তৈরীর কাজে বিএনপি নেতারা নামছেন না। বরং তারা এখন ব্যস্ত নিজ দলীয় নেতাদের সাথে দ্বন্দ সংঘাত তৈরীতে। প্রতিটি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ্এক অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করছেন যাতে করে নিজেরসহ দলীয় ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নির্বাচন ইচ্ছুক নেতারা এখন পর্যন্ত কেন্দ্রের গ্রীণ সিগন্যালের অপেক্ষায় আছেন। এটা পাওয়ার জন্য নিজ আসনের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পিছনে ফেলতে নানা কৌশল ব্যবহার করছেন। কেউ কুৎসা রটনা করছেন, কেউবা গোঁপনে কেন্দ্রে লবিং করছেন। তাছাড়া নির্বাচনের ব্যয় বহনের জন্য টাকা পয়সা যোগাড় করছেন কেউ কেউ।
এদিকে ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সেক্টর দখল করে চাঁদাবাজি কিংবা দখলদারিত্ব করার কারনে কেন্দ্রের গুডবুক থেকে অনেক এমপি প্রত্যাশীর নাম কাটা গেছে। তাই আগামী নির্বাচনে অনেক হেভিওয়েট নেতা বাদ পরতে পারেন দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে। তাই সে ভয়ে নির্বাচনের মাঠে নামছেন না অনেকে। আবার বেশ কয়েকজন এমপি প্রার্থী তাদের আসনে নিজের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত জেনে আত্মবিশ^াসের চূড়ায় অবস্থান করছেন যদিও রাজনীতিতে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয় জেনেও তারা শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে বিএনপি নেতাদেও নিস্ক্রিয়তায় অন্যান্য দলগুলি যে এগিয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সকলেই একমত।