রাজপথে নেই বিদ্রোহীরা, নাম নেই মামলাতেও!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি প্রতিহত করতে একের পর মামলা দেয়া হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মামলা হামলা উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন দল পাগল জিয়ার সৈনিবরা। তবে গত ২৯ অক্টোবরের হরতালের কর্মসূচি কিংবা তিনদিনের লাগাতার অবরোধের একদিনও মাঠে নামতে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীদের। কমিটি ঘোষনার পর থেকে মূলধারার সাথে বিদ্রোহ কওে আলাদা কর্মসূচি পালন করে আসলেও দলের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহুর্তে তারা রাজপথ থেকে উধাও হয়ে গেছেন যা হতাশ করেছে কর্মী সমর্থকদের।

 

আরেকটা বিষয় নেতাকর্মীদের অবাক করেছে আর তাহলো নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় বিবএনপির নেতাকর্মীদেও বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২টি নাশকতার মামলা দায়ের হলেও একটিতেও নাম নেই বিদ্রোহী গ্রুপের কারোর। সরকারী দলের নেতাদের সাথে আতাঁতের কারনেই মামলা থেকে বিদ্রেহিদের নিস্তার দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। বিশেষ করে বিদ্রোহী গ্রুপের প্রধান নেতা আতাউর রহমান মুকুলের সাথে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের অন্তরঙ্গ সম্পর্কেও কারনেই তাদেরকে মামলার ঝামেলা পোহাতে হচ্ছেনা বলে বিশ^াস তৃণমূলের। তবে তৃণমূল এসব সুবিধাবাদি নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে রাখছে এবং যারা দলের এই ক্রান্তিকালেও রাজপথে না থেকে সরকারী দলের সাথে হাত মিলিয়েছে তাদেরকে কড়া জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি সক্রিয় বিএনপি নেতাকর্মীদের।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ঘোষনা করা হয় ৪১ সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি। এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক এবং এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষনার পর থেকেই কমিটির বিরোধীতা করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সবচেয়ে বিতর্কিত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। কমিটি ঘোষনার কয়েকদিনের মধ্যেই বহিস্কৃত বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন মুকুলের নেতৃত্বে ১৪ জন বিএনপি নেতা। এরপর থেকে মুকুলের নেতৃত্বে কিছু বিশৃঙ্খল নেতাকর্মী আলাদা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দলের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করতে থাকে। দলের এই চরম ক্রান্তিকালে যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন তখন সরকারী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দলের মাঝে বিভেদ বিভক্তি সৃষ্টির পায়তারা করছেন মুকুল। ইতিপূর্বে মুকুলের অতীত কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে তৃণমূল মনে করছে স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমানের প্রেসক্রিপশনেই বিএনপিকে দুর্বল করতে মাঠে নেমেছেন মুকুল। সেলিম ওসমানের আজ্ঞাবহ এই বিএনপি নেতা দলের ঐক্য বিনষ্ট করতে কাজ করেছেন প্রতিনিয়ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ