নারায়ণগঞ্জ মেইল: গত ২৯ আগষ্ট ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি। সাদেকুর রহমান সাদেককে আহবায়ক, মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব এবং খায়রুল ইসলাম সজিবকে যুগ্ম আহবায়ক করে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিলো। কমিটি ঘোষনার পর থেকে কোনো কর্মসূচিতেই তিনজনকে একসাথে মিছিল করতে দেখা যায়নি। আহবায়ক সাদেক ও যুগ্ম আহবায়ক সজিবের সাথেই দেখা গেছে অন্তরঙ্গতা। এ দুইজন মিলেই বিভিন্ন সভা সমাবেশে শোডাউন করেছেন। সেখানে দেখা মিলেনি সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে। কমিটি ঐক্যবদ্ধ শোডাউন এখনো পর্যন্ত করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল।
এদিকে জেলা যুবদলের গত একমাসের চিত্র দেখে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে সাদেক-সজিব মিলে মশিউর রনিকে কোনঠাসা করার যে প্রবনতা দেখা গেছে তাতে নেতাকর্মীদের হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। কারণ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে মশিউর রনির অবদান সাদেক-সজিবের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। তাই রনিকে মাইনাস করতে চাইলে এর পরিনতি যুবদলের জন্যে সুফল বয়ে আনবেনা।
তৃণমূলের মতে, তিনজনের কমিটিতে আহবায়ক সাদেক রাজনৈতিক মহলে পরিচিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারি হিসেবে। যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কার্যকরী সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের পুত্র আর সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কার্যকরী সদস্য দিপু ভূইয়ার অনুসারী। আর তাই তৃণমূল বলছে আজাদ-মান্নানের চাপে এখন কোনঠাসা দিপু ভূইয়া।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ মার্চ ঘোষনা করা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি। গোলাম ফারুক খোকনকে আহবায়ক আর মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয় ভিপি কবিরকে। এর ছয় মাস পর ১৫ নভেম্বর ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি যেখানে সদস্য সচিব করা হয় জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে। ফলে জেলা যুবদলের আহবায়ক পদটি খালি হয়ে যায়। এই ভাঙ্গাচোরা কমিটি দিয়ে কোনো রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিলো জেলা যুবদলের কার্যক্রম। নতুন কমিটি গঠনে তাই সকলে আশা করেছিলো ঐক্যবদ্ধভাবে জেলা যুবদল রাজপথে অবদান রাখবে।