নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন করে মূল নেতৃত্বে সংযুক্ত করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে এখন ছাত্রনেতাদের আধিপত্য চলছে বলা যায়। এক সময়ে ছাত্রদলে থেকে মাঠ কাঁপানো নেতারাই এখন মূল স্রোতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে ছাত্রদলের নেতৃত্ব বিকশিত হচ্ছে আর নতুনদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ছাত্রনেতাদের কদর নেই। নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে পদহীন হয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রজন্ম। ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। এই হতাশা কাটাতে ছাত্রতোদের মূল্যায়ন করে মূল স্রোতে সংযুক্ত করার দাবী এখন তৃণমূলের।
সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ছাত্রদল নেতাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত বেশ কয়েকটি কমিটিতে ছাত্রনেতাদের আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। নারায়ণলগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে আলোচিত ছাত্রদল নেতা এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। এছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা তোলারাম কলেজের সাবেক ভিপি মাসুকুল ইসলাম রাজিবকে। তারই সমসাময়িক ছাত্রনেতা শাহ ফতেহ মো: রেজা রিপনকে করা হয়েছে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল এখন মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান রনি এখন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদকে করা হয়েছে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। এছাড়াও আরো অনেক ছাত্রদগল নেতা এখন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাজনীতি করছেন। এর ফলে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের রাজনীতি এখন বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আর নেতৃত্ব তৈরীর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে যেটাকে রাজনীতির জন্যে শুভ লক্ষন হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞজনেরা। এ জন্যে তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুদুরপ্রসারী মনোভাবকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। কারন তাদের পূর্ববর্তী আরো কয়েকটি প্রজন্মের ছাত্রলীগ নেতারাদেরই এখন পর্যন্ত কোনো গতি হয়নি। প্রায় এক যুগ আগে সাবেক হওয়া এহসানুল হাসান নিপুকে এখনও ব্যবহার করতে হয় সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির পদবী। সাবেক আরেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়াত আলম সানীও নেই কোনো পদে। তার সময়কার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। মৃত্যুর আগে তিনিও কোনো পদ পাননি। তাদের পরের প্রজন্ম হাবিবুর রহমান রিয়াদ আর হাসনাত রহমান বিন্দুও সাবেক হয়েছেন গত বছর, তাদেরও এখন পর্যন্ত কোনো গতি হয়নি। এভাবে একের পর এক প্রজন্ম ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে পদহীন হতাশার জীবন অতিবাহিত করছেন। যে কারনে নতুন প্রজন্মের মাঝে আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করছেন সকলে। আর তাই নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের অচিরেই মূল স্রোতে দায়িত্ব দেয়ার দাবি উঠেছে তৃণমূলে।