নারায়ণগঞ্জ মেইল: দল ক্ষমতায় টানা তৃতীয়বারের মত। তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। ইতিমধ্যে যুবলীগসহ সহযোগী প্রতিটি সংগঠনের মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও কমিটি পুনর্গঠনের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না শীর্ষ নেতারা। বরং সহযোগী সংগঠনের যেসকল কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে যেই কমিটির নেতারাও এখনো দলীয় কোন পদে আসতে পারছে না। ফার ফলে রাজনীতির মাঠে নতুনদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি পদ হারানোদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।
জানাগেছে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু পদ হারানোর পর এখনো কোন পদে না আসতে পারায় জেলা যুবলীগের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন। নিপুর পরবর্তী কমিটির সভাপতি সাফায়ত আলম সানির নেতৃত্বধীন কমিটি বিলুপ্তের পর এখনো তিনি কোন পদে আসতে পারেননি। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিলুপ্ত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক দুলাল প্রধান ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদকসহ দুই কমিটিতে থাকা নেতারা কবে নাগাদ নতুন কমিটিতে পদ যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সাংগঠনিক ভাবে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দীর্ঘদিন পদে থেকে নেতাদের মধ্যে চলে এসেছে ক্ষমতার অহমিকা আর কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নেতাদের নিজেদের পকেট ভারী হলেও কর্মীদের দুর্দিন আর কাটছেই না। এর ফলে নেতাদের সাথে কর্মীদের দূরত্ব ক্রমশই বেড়ে চলছে। দলীয় কর্মসূচিতেও কর্মীদের অংশ গ্রহন কমে গেছে। কর্মীদের দাবি, দলের নাম ব্যবহার কর দলের পদধারী নেতারা নানা ভাবে লাভবান হলেও কর্মীরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এছাড়া নেতাদের মধ্যে পদের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকটা অহমিকা কাজ করছে। ফলে নেতাদের সাথে কর্মীদেরও দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।