বারবার কেনো রনিকেই টার্গেট করা হচ্ছে?

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। বিগত এক দশক ধরে নারায়ণগঞ্জে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের যার অবদান অনস্বীকার্য। ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে হাতেখড়ি হওয়া এই জিয়ার সৈনিকের পথচলা একেবারেই মসৃন ছিলো না। সরকারী দল, পুলিশ এমনকি নিজ দলের স্বার্থান্বেষী মহলের রোষানলে পরতে হয়েছে তাকে বারবার কিন্তু প্রতিবারই দোর্দান্ড প্রতাপে ঘুরে দাড়িয়েছেন তিনি। তবে কেনো বারবার রনিকেই টার্গেট করা হয় সে প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মনে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের বর্তমান সদস্য সসচিব মশিউর রহমান রনি খুব ছোটবেলা থেকেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যান। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতি শুরু করার পরপরই তাকে বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। এ পথে নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যান রনি এবং এর সুফলও পান। তরুণ প্রজন্মের কাছে আন্দোলন সংগ্রামের আইকনে পরিনত হন তিনি। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় পেয়ে যান বিশাল জনপ্রিয়তা। আর এ জনপ্রিয়তা তাকে পৌছে দেয় জেলা যুবদলের সদস্য সচিব পদে। খুব অল্প বয়সে মশিউর রহমান রনি সাফল্যের চুড়ায় উঠে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অনেক রথি মহারথির পিলে চমকে উঠে। রনির জনপ্রিয়তার কাছে তাদের নিজেদের অসিস্তত্ব হারানোর ভয়ে তারা নানাভাবে ঘড়যন্ত্র করতে থাকে। নিজ দলের ঘড়যন্ত্রকারীদের রোষানলে পরে তাকে বারবার জেল খাটতে হয়েছে, সইতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন।

২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার আরামবাগ থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে করে মশিউর রহমান রনিকে উঠিয়েয় নিয়েয় যযাওয়ার অভিযেযাগ করে রনির পরিবার কিন্তু এই প্রেফতারের কথা অস্বীকার করে পুলিশ। তখন রনির বাবা-মা পবিত্র হজ্ব পালনের জন্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। রনির পরিবারের পক্ষে সে সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সংবাদ সম্মেলন করে রনির সন্ধান চান। এর দুদিন পরে ১৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও গুলিসহ রনিকে গ্রেফতার দেখায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ১৪১ দিন জেলা খাটার পরে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মশিউর রনি।

২০২১ সালের ২১ আগষ্ট রাতে ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেফতার হন মশিউর রনি। ফতুল্লা মডেল থানা রনিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হেফাজতের ৩ মামলায় গ্রেফতার দেখায়। প্রায় ৭০ দিন জেল খেটে ১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান রনি। রনির ্এসব গ্রেফতারের পিছনে সেসব চক্রান্তকারীদের হাত ছিলো বলে মনে করেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মশিউর রনিকে বিতর্কিত করতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই অপশক্তি। পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে বিএনপির ভভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ততাারেক রহমানের ঈদ উপহার অসহায়ের হাতে তুলে দেন রনি। এ নিয়েয় জল ঘোলা করার চেষ্টা ককরে একটি পক্ষ। নারায়ণগঞ্জে সুবিধা করতে না পেরে ঢাকায় রনির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করানো হয় কিছু টোকাই শ্রেনির লোকজন দিয়ে। অতি সম্প্রতি মশিউর রহমান রনির পরিবারের বিরুদ্ধে অশালীন কথা লিখে পোষ্টার ছাপিয়ে তা লাগানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। এতে করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। রনির মতো সংগ্রামী নেতাকে থামিয়ে দেয়ার এই অপচেষ্টাকে প্রতিহতের আহবান জানিয়েছেন তারা।

বারবার কেনো রনিকেই টার্গেট করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মশিউর রহমান রনি নারায়য়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, বিএনপির রাজনীতি করে অআমরা আমমাদের সম্পদ হহারিয়েছি কিন্তুু বিএনপিরই একট পক্ষ আওয়য়ামীলীগের সাথে আতাঁত ককরে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তারাই চাইছে আমাকে বিতর্কিত করে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামকে থামিয়ে দিতে। কারন সেই অপশক্তি যারা দিনের আলোয় বিএনপি করে রাতের আঁধারে আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নিজাম, মীর সোহেল, শরিফ, স্বপনের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করে এবং তাদের জায়গা জমি দখল করে নেয়, তারাই অআমার পেছনে লেগেছে। কারন তাদের ্এসব অপকর্মের আমি প্রতিবাদ করি। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে আমাকে সরিয়েয় দিতে চাইছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার আদর্র্শকে বুুকে ধারন করে এবং বিএনপির চেয়য়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আমি মশিউর রনি রাজপথে ছিলাম, রাজপথেই থাকবো। কোনো অপপ্রচার আমাকে আমার প্রবিাদী অবস্থান থেকে সরাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ