সংঘাতের শংকায় অনিশ্চিত জেলা বিএনপির সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা ব্এিনপির সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ১০টি ইউনিট কমিটির মধ্যে অর্ধেকই এখনও তাদের সম্মেলন করতে পারেননি। তাছাড়া সকলের সাথে সমন্বয় না করে সম্মেলন আয়োজন করে ্ইতিমধ্যেই সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জে। রূপগঞ্জ এবং ফতুল্লায়ও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর ইউনিট কমিটি সম্পূূর্ণ না করে জেলা কমিটির সম্মেলন আয়োজন করাও সম্ভব হচ্ছে না। যে কারনে বেকায়দায় রয়েছেন জেলা বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

সূত্রে প্রকাশ, ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ নেতৃবৃন্দ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের বিষয়ে গত মার্চ মাসে স্কাইপির মাধ্যমে আলোচনা হয়েছিল। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন করতে বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এদিকে আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১০টি ইউনিট কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন হলেও বাকী আরও ৫টি ইউনিট কমিটির সম্মেলন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানান জটিলতা। এপ্রিলের মধ্যে বাকি পাঁচটি ইউনিট কমিটির সম্মেলন হওয়ার থাকলেও তা হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। গত ১৫ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও থানা বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষের কারণে তা পন্ড হয়ে যায়। সেই সম্মেলনে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। সেই সংঘর্ষে থানা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় নানানভাবে সমালোচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা। আর ফতুল্লা থানা বিএনপির সম্মেলন নিয়েও চলছে নানান জটিলতা। কারণ ফতুল্লা থানা বিএনপি এখনো পর্যন্ত একটি ইউনিয়নের কমিটিও গঠন করতে পারিনি। আর রূপগঞ্জ থানা, কাঞ্চন পৌরসভা ও তারাবো পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা করতে পারছেন না। এসকল মিলিয়ে এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেনা ৫ টি ইউনিট কমিটির সম্মেলন। আর ইউনিট কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন না করে জেলা কমিটির সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

উল্লেখ থাকে যে, কাজী মরিুজ্জামান মনির ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বধীন জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয় ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২০২১ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে আহবায়ক এবং অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এই কমিটিকে তিন মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিলো তাদের আওতাধীন ১০টি ইউনিট কমিটি গঠন করে জেলা কমিটির সম্মেলন আয়োজনের জন্যে। কিন্তু ১০টি ইউনিট কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে তৈমূর ও মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি ও কমিটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠে।

এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলে আসে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হন জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার। এই অপরাধে প্রথমে তাকে জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাকে বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। তৈমূরের বহিস্কারে জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে নাসিক নির্বাচনের আগমুহুর্তে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে হেফাজতের মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন ২য় যুগ্ম আহবায়ক নাসিরউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দাত্বি তুলে দেওয়য়া হয়। এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নাসিরউদ্দিন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুুন মাহমুদ মিলে গত ২০ জানুয়ারি জেলা বিএনপির আওতাধীন ১০টি ইউনিট কমিটির অনুুমোদন দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ