নারায়ণগঞ্জ মেইল: শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ্বের কারনে দীর্ঘদিন যাবত অচলাবস্থা বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে। সংগঠনের সভাপতি এড. আবুল কালামের নিস্ক্রিয়তা আর সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের দল থেকে বহিস্কার হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো। তাছাড়া সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে সভাপতি এড. আবুল কালামের দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের কারনেও রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোতে দৃঢ়তা দেখাতে পারছেননা তারা। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিগুলো তাই দ্বিতীয় সারির নেতাদের উপস্থিতিতে দায়সারাভাবে পালন করা হতো। তবে খুব শীঘ্রই কালাম-সাখাওয়াত দ্বন্দ্বের নিরসন হতে চলেছে বলে জানা গেছে। অতি সম্প্রতি সেই আভাসও মিলেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে কালাম-সাখাওয়াতকে দীর্ঘদিন পর এক মঞ্চে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগর বিএনপিতে গতি ফেরাতে খুব শীঘ্রই ভেঙ্গে দেয়া হবে বর্তমান কমিটি। সভাপতি এড. আবুল কালামের সাথে সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের দুরত্ব কমিয়ে এনে তাদের হাতেই তুলে দেয়া হতে পারে পরবর্তী নেতৃত্বের ভার। সেইসাথে নিস্ক্রিয় আর বিতর্কিতদের ছেটে ফেলা হবে আগামী কমিটিতে, তার বদলে তরুণ উদীয়মানদের দেখা যেতে পারে প্রথম সারিতে। এমনটাই আভাস মিলেছে একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে গতিশীল করতে হলে কালাম-সাখাওয়াত দ্বন্দ্ব নিরসনের কোনো বিকল্প নেই। এ দুুই শীর্ষ নেতার মত পার্থক্যের সুযোগে বিতর্কিত অনেক নেতা তাদের স্বার্থ হাসিলের মিশনে নেমেছিলেন। যার ফলে মুখ থুবরে পরেছিলো মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড। তবে দেরিতে হলেও বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড। তবে এক্ষেত্রেও সেই বিতর্কিতরাই বাঁধা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে যাতে করে কালাম-সাখাওয়াত দ্বন্দ্বকে জিইয়ে রাখা যায়। মহানগর বিএনপির ঘুরে দাড়ানোর লক্ষ্যে এই বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে যাতে করে আগামী দিনে আর তারা কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। সেইসাথে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের উদ্যোগ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে।