কার সম্পদ বৈধ!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে টানা তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন ডা: সেলিনা হায়াত আইভী। এরআগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভারও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় থাকতেন মেয়র আইভী। সর্বশেষ গত সিটি নির্বাচনের আগে রাজউকের জায়গা দখল করে মাইক্রো ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড বানানো, রেলওয়ের জায়গা দখল করে পার্ক নির্মাণ, মসজিদ ও মন্দিরের জায়গা দখল, আইনজীবীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি জোর করে দখলের অভিযোগ করা হয়েছিল আইভীর বিরুদ্ধে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ‘চুনকা কুটির’ নিয়ে। বিশালবহুল এই বাড়ি নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও তার অনুসারিরা। এনিয়ে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন ঢাকার হাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।

মেয়রের বিরুদ্ধে বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও এবার সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। গত ৭ মার্চ বিকেলে শেখ রাসেল নগর পার্কে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আয়োজনে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ৯ বছর স্মরণে শিশু সমাবেশ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র আইভীর বক্তব্য নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। অনুষ্ঠানে সাংসদ শামীম ওসমান কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

সে সমাবেশে মেয়র আইভী বলেন, তোলারাম কলেজে ফরম ফিলাম করতে পারেন নাই টাকার জন্য। আজকে কোটি কোটি টাকার মালিক। জাহাজ আছে ১৬-১৭টা। এই জাহাজের মালিক রাতারাতি কিভাবে হলেন। কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন। সেটাতো নারায়ণগঞ্জবাসী জানতে চায়। মেয়র আইভী বলেন, শত শত কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছেন দুবাইতে, মালেশিয়াতে। আমি আমার বাবার বাড়ি বিক্রি করে নিজের বাড়ি তৈরী করেছি, আপনার মতো চুরি করে বাড়ি বানাইনি।

এদিকে, মেয়র আইভীর এই বক্তব্যর পর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা চলছে। মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের টক অব দ্যা টাউন ছিলো তাদের দুইজনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়টি। এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মেয়র আইভীর বক্তব্যের পর নগরবাসীর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কার সম্পদ বৈধ। তবে সচেতন মহল বলছে, কার সম্পদ বৈধ আর কার সম্পদ অবৈধ তা যাচাই করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত প্রয়োজন। যদিও শামীম ও আইভী দুইজনকেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর হওয়ায় এনিয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা পরিবেশ পর্যক্ষেণ করছেন। ইতিমধ্যে মেয়র আইভী কেন্দ্রে শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল গত নাসিক নির্বাচনে। নির্বাচনে আইভীকে বিজয়ী করতে কেন্দ্রীয় নেতারা বেশ তৎপর ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ