প্রেতাত্মার অভিশাপ মুক্ত হলো না:গঞ্জ বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ মেইল: দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি’র সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসাথে তৈমুরের নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয়ার অপরাধে মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও তার সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপির হাইকমান্ড।

এদিকে এই দুই নেতার বহিষ্কারে স্বস্তি ফিরেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। কারণ তৃণমূল মনে করে এই দুই নেতার মাধ্যমে প্রেতাত্মাদের অভিশাপ ছড়িয়ে পড়েছিল নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে। তাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সেই অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো।

তৃণমূল সূত্রে প্রকাশ, একসময়ের বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপি সরকারের সময় সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই হাতে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে দলের সাথে করেছেন বেইমানি। যার ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। সেই বেইমান নাজমুল হুদার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যখন বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী তখন তিনি তাঁর শিষ্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান বানান।

সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে শীষ্য তৈমুর আলম খন্দকারও তার গুরু ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মতোন দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠেন এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। সেই থেকে তৈমুর আলম খন্দকারকে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রেতাত্মা হিসেবে আখ্যায়িত করেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।

অপরদিকে আরেক বহিস্কৃত নেতা এটিএম কামাল ছিলেন সব সময় সুবিধাবাদীদের দলে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি এতটাই স্বার্থপর ছিলেন যে, তার কোনো নিজস্ব কর্মী বাহিনী গড়ে ওঠেনি। গত কয়েক বছর তিনি দল এবং দলের নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন সুদূর আমেরিকায়।

এই এটিএম কামালও এক সময় বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির আরেক বহিস্কৃত নেতা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারায়। বিএনপির ছেড়ে বিকল্পধারায় গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন এই এটিএম কামাল, দিয়েছেন বিএনপির বিরুদ্ধে নানান স্লোগান। তবে বেশিদিন সেখানে থাকতে পারেননি কামাল। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরীর এই দল খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। তাই সুযোগ বুঝে আবারো বিএনপিতে ফিরে আসেন এই সুবিধাবাদী নেতা। তাই এটিএম কামালের মাঝে দলত্যাগী বেইমান বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছায়া দেখতে পেতেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এতদিনে দল এটিএম কামালকে বহিস্কার করায় বি চৌধুরীর প্রেতাত্মার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তি তৃণমূলের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ