নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নব্য কিং মেকার নজরুল ইসলাম আজাদের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি মিলছে না আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের। এবার এই কিংমেকার টাকার বিনিময়ে জেলা বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র কমিটি নিজের পকেটে পুরেছেন। এতে করে আড়াইহাজারের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনে থাকা ৫টি থানা ও ৫টি পৌরসভায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ এ কমিটির অনুমোদন দেন।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামুন মাহমুদ। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ১০টি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র অন্তর্গত পাঁচটি থানা কমিটি গঠনে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র কমিটি জনবিচ্ছিন্ন নেতা এবং নব্য কিংমেকার হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে দিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ের ইউসুফ আলী ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক এবং জুয়েল আহমেদকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। অথচ মাঠ পর্যায়ে এই দুই নেতার নেই তেমন গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু কিংমেকারের কারিশমায় চলে আসছেন আড়াইহাজারে নেতৃত্বে। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে আড়াইহাজার বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন প্রয়াত বদিউজ্জামান খসরু। তিনি ছিলেন থানা বিএনপি’র সভাপতি। তার মৃত্যুর পরে তার ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় রয়েছে তাদের বিশাল জনপ্রিয়তা। ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান হিসেবে আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দাবি ছিল মাহমুদুর রহমান সুমনকে আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র আহবায়ক পদ দেয়া হোক। এলাকায় বিশাল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন সুমন-এমনটাই বিশ্বাস ছিলো তৃণমূলের। কিন্তু কিংমেকারের পকেটে কমিটি চলে যাওয়ায় এখন হাইব্রিড নেতাদের উত্থান ঘটবে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবেন বলে ক্ষোভ তাদের।