এবার আলোচনায় জেলা পরিষদ নির্বাচন

নারায়ণগঞ্জ মেইল: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এর আগে শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের প্রায় সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। মোটামুটি কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই এবার নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে নারায়ণগঞ্জবাসির মনে।

স্থানীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে প্রায় সবগুলোই শেষ হয়েছে। এখন শুধু রয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ সকলের মেয়াদ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তিন প্রভাবশালী নেতা তাকিয়ে রয়েছেন জেলা পরিষদের নির্বাচনের দিকে। জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা জেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা যাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন তিনিই হবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের আগামীর চেয়ারম্যান। কারণ বিএনপি সারাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সেই ধারাবাহিকতায় বলা যায় জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তারা প্রার্থী দেবে না। তাছাড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া, সেখানে সরকারি দল ছাড়া অন্য কারো নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকায় এখানে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রায় সকলেই অনীহা লক্ষ্য করা যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া ১৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে মেম্বার পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা।

এদিন ভোটের ফলাফলে সোনারগাঁওয়ে সংরক্ষিত আসনে অ্যাডভোকেট নূর জাহান নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া ৪নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন) মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, ৬নং ওয়ার্ডে (মদনপুর ইউনিয়ন, মুছাপুর ইউনিয়ন, ধামগড় ইউনিয়ন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ও বন্দর ইউনিয়ন) নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, সোনারগাঁও উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, ৯নং ওয়ার্ডে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাত খুনের মামলার আসামি নুর হোসেনের শ্যালক নূরে আলম খাঁন জয়ী হয়েছেন।

৮নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু নাইম ইকবাল তালা প্রতীকে ২০ ভোট পেয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্ধী ফারুক হোসেন ভূইয়া সিলিং ফ্যান প্রতীকে ২০ ভোট পেয়ে সমতায় রয়েছেন।

রূপগঞ্জ উপজেলায় ১৩নং ওয়ার্ডে (তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন) মোস্তাফিজুর রহমান, ১৪নং ওয়ার্ডে (কায়েতপাড়া ইউনিয়ন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ও দাউদপুর ইউনিয়ন) মিজানুর রহমান, ১৫নং ওয়ার্ডে (ভুলতা ইউনিয়ন, ভোলাব ইউনিয়ন ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন) কামরুল হাসান ভূইয়া ও রূপগঞ্জে সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ডে সীমা রানী পাল টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জয়ী হয়েছেন।

ভোটার জটিলতার কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার তিনটি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে মাহমুদা মালা, ২নং ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফায়েত আলম সানির স্ত্রী সাদিয়া আফরীন, ৫নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন, আড়াইহাজারের ১০নং ওয়ার্ডে খোরশেদ আলম, ১১নং ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান রোমান, ১২নং ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, সংরক্ষিত ৪নং ওয়ার্ডে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার কবিতা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ