এই জয় জনগনের: আইভী

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রতিক্রিয়ায় সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এ জয় জনসাধারণের, যারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। এ জয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উৎসর্গকৃত।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ চেয়ারম্যানবাড়ীতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

নাসিক নির্বাচনে টানা তিনবার জয়ী আইভী আরও বলেন, আমি দল ও নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে আমার নেতাকর্মীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার জন্য কাজ করেছেন।

আইভী আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছর নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব। আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। সব ধরনের বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে কাজ করতে চাই।

টানা তৃতীয় বারের মেয়র হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আইভী বলেন, এ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের জন্ম এ নারায়ণগঞ্জে। তার ধারবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি বলে নিজেকে গর্বিত মনে করি। শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি আজীবন এ দল করবো, জয় বাংলা বলবো। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্ব হয়ে আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করবো। দল-মতের উর্ধ্বে উঠে জনকল্যাণে কাজ করব।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার ‘ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ তুলেছেন।

তার জবাবে আইভী বলেন,  এত মিডিয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিংটা কোথায় হল? আমি অভিযোগ করছিলাম, ভোট স্লো হচ্ছিল। যদি স্লো না হত তাহলে এক লাখ ভোটের ডিফারেন্স হত। কী ধরনের সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে, আমি জানি না। দেশবাসী দেখেছে, মিডিয়া দেখেছে, নারায়ণগঞ্জবাসী দেখেছে; এখানে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। ভোট কাস্টিং দ্রুত হলে ভালো হতো।

এর আগে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। দুজনের ভোটের পার্থক্য ৬৯ হাজার ১০২টি।

এর ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হতে চলেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

রোববার রাতে ভোট গণনা শেষে ১৯২ কেন্দ্র থেকে আসা প্রাথমিক তথ্যে মেয়র পদের এ ফল নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বেসরকারিভাবে যে ফল ঘোষণা করছেন সেখান থেকে এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়াও মেয়র পদে লড়েন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নয়টি কাউন্সিলর পদে লড়েন ৩৪ জন প্রার্থী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ