নারায়ণগঞ্জ মেইল: আগামী ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে না এমন জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবীদের ডায়নামিক নেতা অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সফল প্রত্যাবর্তন। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা আর হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হাসান ফেরদৌস জুয়েল আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী। আর দলমত নির্বিশেষে আদালত পাড়ায় জুয়েলের বিশাল গ্রহণযোগ্যতা আর জনপ্রিয়তা বলে দিচ্ছে জয়ের পথ অনেকটাই মসৃণ সদা হাস্যজ্জল এই আইনজীবীর জন্য। আর তাই আদালতপাড়ায় আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, স্বমহিমায় রাজসিক প্রত্যাবর্তন হতে যাচ্ছে ডিজিটাল বার ভবনের স্বপ্নদ্রষ্টা অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বছর বছর নির্বাচনের আগে দেয়া মিথ্যা অঙ্গিকারের ফুলঝুড়ি থেকে বেরিয়ে এসে স্বপ্ন বাস্তবায়নের কৌশল শিখিয়েছেন এডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের গর্ব করার মতো একাধীক উপাদান তৈরী করে ইতিহাস গড়েছেন এই কীর্তিমান। তার চোখের সামনে এখন জ্বলজ্বল করে নির্মাণাধীন ডিজিটাল বার ভবন, আইনজীবীদের মৃত্যুকালীণ নিশ্চয়তা বেনাভোলেন্ট ফান্ড, এলডিপিএস, স্মার্ট কার্ড, ডিজিটাল ডিরেক্টরীসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বারকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বারে রূপান্তর করার কারিগর এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েলকে তাই নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা ভুলবে না কখনো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে ইতিহাস সৃষ্টিকারী নেতা হলেন এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তার নেয়া যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। বিশেষ করে শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পুরানো বার ভবন ভেঙ্গে ফেলে নতুন ডিজিটাল বার ভবন তৈরীর উদ্যোগ জেলা বারের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রতিপক্ষ বিএনপির আইনজীবীদের সাথে নিজ দলের একটি পক্ষেরও ঘোর বিরোধীতার মুখে যে অবিচল ধৈর্য আর সাহসীকতার সাথে নতুন ভবন তৈরীর কাজ শুরু করেছিলেন জুয়েল, তা দলমত নির্বিশেষে সকল আইনজীবীর কাছে ছিলো প্রশংসনীয়।
এক সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কোন ফান্ড ছিলো না, ছিলো না মৃত্যুর পরে সে আইনজীবীর পরিবারের জন্য কোন বরাদ্দ। ঠিক মতো বার কাউন্সিলের টাকা পরিশোধ না করায় এড. সুলতানউদ্দিনের মতো আইনজীবীর পরিবারও বার কাউন্সিলের বরাদ্দকৃত ৫ লক্ষ টাকা থেকে হয়েছিলেন বঞ্চিত। এসব বিষয় মনিটরিং করার কথা এবং সঠিক ডাটাবেজ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কখনো। নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের বসার জন্য ছিলো জরাজীর্ণ একটি তিনতলা ভবন। সে ভবনে ঠাঁই হতো না সবার, ফলে পাশে টিনশেডের মধ্যে গাদাগাদি করে বসতেন আইনজীবীরা।
তবে গত কয়েক বছরে পাল্টে যেতে শুরু করেছে সেসব চিত্র। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীণ আইনজীবীদের জীবন মান উন্নয়নের কাজে হাত দেন। সে থেকে শুরু করে গত দুই বছরে আইনজীবী সমিতির কার্যক্রমে আমুল পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেরেন তিনি। তার সবচেয়ে বড় এচিভম্যান্ট হলো আইনজীবীদের জন্য ‘বেনাভোলেন্ট’ ফান্ড গঠন করা যাতে বর্তমানে প্রায় ১০ কেটি টাকার উপরে জমা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনজীবীদের জন্য একটি ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা ছিলো তার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ বারের উন্নয়নের বানী শুনিয়ে প্রতিবারেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেন আইনজীবী নেতারা। কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়নের সুফল পাচ্ছিলেন না সাধারণ আইনজীবীরা। বিশেষ করে একটি আধুনিক বার ভবন নির্মাণ ও দুই কোর্ট একত্রে রাখার বিষয়ে বছরের পর বছর সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করেননি। স্বপ্নকে কিভাবে বাস্তবে রূপ দিতে হয় তা সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এডভোকেট হাসান ফেরদৌস ওয়াজ। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের অর্থায়নে নির্মিত আইনজীবী সমিতির জন্য ডিজিটাল ভবন এখন দৃশ্যমান। যার মধুর পরিসমাপ্তি তার স্বপ্ন দ্রষ্টার হাতেই হওয়ার অপেক্ষায়।