নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের মেয়য়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সেই সাথে মেযাদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদেরও। অবিবাহিত অবস্থায় দায়িত্ব নিলেও বর্তমানে দুটি সংগঠনেরই সভাপতি সেক্রটারীসহ বেশীরভাগ নেতাই বিবাহিত। অনেকের একাধীক ছেলেমেয়েও রয়েছে। যদিও ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিবাহিত কোন নেতা ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকেেত পারবেন না। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে ঢেলে সাজানো দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফুর রহমান মানিক ছিলেন কমিটির ১ম সহ সভাপতি। সংগঠনের সভাপতি মশিউর রহমান রনি জেলা যুবদলের সদস্য সচিব পদ পাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময়ে ভারপ্রাপ্ত সভাাপতি করা হয় মানিককে। ৫৯২ সদস্যে কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফফুর রহমান মানিক বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। বিবাহিত জেনেই মানিককে সংগঠনের বিধি বহির্ভূতভাবে ভারপপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সিিজবও বিবাহিত। তবে ২০১৮ সালে কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার সময়ে তিনি অবিবাহিতই ছিলেন। কিন্তু গত প্রায় দুই বছর আগে তিনি পারিবারিকভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদও বিবাহিত। গত বছর করোনাকালীন সময়ে তিনি বিয়ে করেন। এর আগেই তিনি মহানগর ছাত্রদলের সকল ইউনিট কমিটি গঠন করে ফেলেন। সেইসাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বর্তমান সুপার ফাইভের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পান ছাত্রদল সভাপতি সাহেদ। সভাপতি সাহেদের আগেই বিয়ে করে ফেলেন মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশীরভাগ নেতাই বর্তমানে বিবাহিত। আর ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুুযায়ী বিবাহিত নেতারা ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকতে পারেননা। আর তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে বিবাহিত নেতাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তৃণমূূল।
