নারায়ণগঞ্জ মেইল: নেতাকর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু নাম মাত্র সম্মেলন করে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দখলে রেখেছেন এম. সাইফুল্লাহ বাদল এবং শওকত আলী। সম্প্রতি ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। যার ফলে দায়িত্ব বেড়েছে সাইফুল্লাহ বাদলের। কিন্তু এম. সাইফুল্লাহ বাদল দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তার মধ্যে তিনি আবার কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদের চাপের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চাপ নিতে অনেকটা বেগ পোহাতে হয় তার। তাই আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে না দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর মতে, সাইফুল্লাহ বাদল শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকেন। করোনা পরিস্থিতির ছড়িয়ে পড়ার পর গত এক বছরে ৩০ দিনও ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না। যদিও বাসায় বসেই তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। কিন্তু এতে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কাশীপুরের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা আরো জানান, সাইফুল্লাহ বাদল অনেক ব্যস্ত মানুষ। দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন। তাই জরুরী প্রয়োজনে তার সাথে দেখা করাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে তার ঘনিষ্টজনরা বলছেন, আগামীতে তিনি নির্বাচন না করার সম্ভাবনাই বেশি। এব্যাপারে এম. সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।