সোনারগাঁ বিএনপিকে এক সুতায় গেঁথে রেখেছেন মান্নান

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সোনারগাঁ উপজেলায় আওয়ামীলীগ আর জাতীয় পার্টির চাপে কোনঠাসা অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাছাড়া সোনারগাঁয়ের সবচেয়ে সিনিয়র বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকায় আর খন্দকার আবু জাফরসহ বাকী নেতারা কর্মীদের খোঁজ খবর না রাখায় খুবই দুবস্থায় দিন কটাতে হতো বিএনপিকে। তবে সেই দুর্দশা থেকে কর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান। বিশেষ করে গত কয়েক বছর পুলিশের হামলা মামলায় বিপর্যস্ত নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামকে চাঙ্গা রেখেছেন তিনি। তাছাড়া বিভেদ বিভক্তি কাটিয়ে সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের এক সুতায় গেঁথে রাখার কাজটি সুনিপুণভাবে করে গেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান।

সূত্রে প্রকাশ, গত কয়েক বছর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচি মানেই ছিলো সেই চিরচেনা দৃশ্য। গেরিলা অপারেশনের মতো বিভিন্ন দিক থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেতাকর্মীরা এসে ব্যানার নিয়ে দাড়ানো মাত্র পুলিশ এসে বাঁধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়া এবং লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া। মাঝে মাঝে প্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। এতে অনেক মামলায় আসামীও হয়েছেন বহু বিএনপি নেতা। আর তাই কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচি দিলেই বুক দুরুদুরু করতো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতার্মীদের। রাজপথ ছেড়ে গলিতে গিয়েও নিস্তার পায়নি বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানেও তাদের তাড়া করেছে পুলিশ। আর সে সময়েও সোনারগাঁ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছেন। সে সময়ে হারিকেন দিয়ে সোনারগাঁয়ে অন্য কোন বিএনপি নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কর্মীরা বিপদে আপদে আশ্রয় পাওয়ার জন্যে যখন একটি ঠিকানা খুঁজে বেড়িয়েছে তখন সকল দুয়ার তাদের জন্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, আর সে সময়ে নিজেকেই আশ্রয়স্থলে রূপান্তরিত করেছিলেন মান্নান। যখন নেতাকর্মীরা মামলায় আসামি হয়ে পলাতক হয়ে আত্মাগোপনে ঘুরেন তখন নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করান মান্নান। নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যার সমাধানেও এগিয়ে আসেন মান্নান। মান্নান বিএনপির রাজনীতিতে এতে দলকে দিয়েছেন বেশি, পেয়েছেন কম। যেখানে সোনারগাঁয়ের বিএনপির নেতাকর্মীদের একমাত্র ভরসা মান্নান সেখানে রেজাউল করিম আর খন্দকার আবু জাফরের মতো নেতারা কর্মীদের কাছে শুধুই বুকচাপা দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

নেতাকর্মীদের দাবি- মান্নান রাজপথে আন্দোলন করেন, রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে মামলায় আসামি হওয়া নেতাকর্মীদের জামিন করান, নেতাকর্মীদের খোজখবর নেন, নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যার সমাধান করেন, বিপদেও পাশে থাকেন, দলের হয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকেন। কিন্তু দলের বিপদের সময় রেজাউল করিম আর আবু জাফরের মত নেতারা রাজপথের নেতাকর্মীদের কোন খোঁজখবরও রাখেন না। আর তাই আগামী দিনে সোনারগাঁ বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচনে অতীতের এসব ত্যাগের মূল্যায়ন চায় তৃণমূল। উড়ে এসে জুড়ে বসা কাউকে নেতৃত্ব দেয়া হলে তৃণমূল তা মেনে নেবেনা বলেও হুঁশিয়ারী তাদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ