অক্টোবরে দেশ ধ্বংসের থাবা দেবে বিএনপি-জামাত: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, পূর্বের মতো এখনো শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশিরা এই ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশকে সিরিয়া-আফগানস্থান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে সেই চেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসেছি তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবীতে রাজনীতি শুরু করি। ২০০১ এর ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা হয়। সেখানে আমাদের দলের অনেক লোক মারা যায়। মূল লক্ষ্য ছিলাম আমি। কিন্তু তখন আমি একটি কথাই বলেছিলাম, আমার নেত্রীকে বাঁচান। গত তিন ধরে শুনছি আবারো আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এখনও বলবো, এই দেশকে বাঁচাত হলে শেখ হাসিনাকে দরকার। কারণ তিনি আমাদের আগামী প্রজন্মকে এক সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। শেখ হাসিনা নামটা হলো আগামীর উন্নত বাংলাদেশ।

 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামিলীগ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজনে এক জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে অনেকেই আওয়ামীলীগ করেন। কিন্তু তারা আওয়ামীলীগের জনসভায় আসেন না। তারা মোশতাকের অনুসারী। তারা পেছন থেকে ছুড়ি মারতে চায়। আমি যারা আওয়ামীলীগ করি তারা বিএনপি-জামায়াতকে ভয় পাই না। তারা যদি দশ হাজারও আসে সেখানে আওয়ামীলীগের কয়েকজনই যথেষ্ট তাদের প্রতিহত করার জন্য। ভয় শুধু মোশতাকদের অনুসারীদের নিয়ে।

 

তিনি আরো বলেন, ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখুন, তিনিই আমাদের স্বপ্ন। অক্টোবর নাগাদ ওরা মানচিত্রে থাবা দেবে; ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য ওরা এটা করবে।
নারায়ণগঞ্জে অনেকে আওয়ামী লীগ সাজতে চান। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নামে না মন্তব্য করে শামীম ওসমান বলেন, মোশতাক বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমাদের বাসায় ফোন করেছিল। আমার মা সেদিন খুনি মোশতাককে বলেছিলেন, সে (শামীম ওসমানের বাবা) যদি আপনার মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়, প্রথমে চেষ্টা করব তাকে হত্যা করতে। নয়ত নিজে আত্মহত্যা করব। আমি সেটার সাক্ষী। মনসুর আলী যে রুমে ছিলেন, আমার বাবাও সেখানে ছিলেন। তাকে অজু পর্যন্ত করতে দেয়নি।

 

 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দুই হাত উপরে তুলে কাঁদছিলেন। বলেছিলেন—আমার বাবা-মাকে যেখানে মেরেছে, সেখানে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে চাই। তারা সেখানে নফল নামাজ পড়তে দেয়নি। যারা আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের সাথে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারব না। আমরা আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাই।

 

 

সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কায়সার হাসনাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ