নারায়ণগঞ্জ মেইল: জমে উঠেছে ১৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী হিসেব-নিকেশ। বিগত সময় গুলোর মত কাউন্সিলর খোরশেদের একাধিপত্য ক্ষুন্ন করে এবার ভোটের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল হোসেন। ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ রবিউল হোসেন দলমত নির্বিশেষে সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে ওয়ার্ডবাসীর কাছ থেকে।
সরেজমিনে ১৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের জনপ্রিয়তায় রীতিমতো ধ্বস নেমেছে। সাধারণ ভোটারদের মুখে মুখে এখন খোরশেদের নারী কেলেঙ্কারির কাহিনী। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে সরকারি অনুদানের মোড়ক পাল্টে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার গোমরও ফাঁস হয়ে গেছে সাধারণ ভোটারদের কাছে।
১৩নং ওয়ার্ডের নারী ভোটাররা খোরশেদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, কাউন্সিলর খোরশেদ সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করেছেন, নারী অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। ঘরে স্ত্রী থাকার পরেও পরকিয়া করে আরেকটা বিয়ে করেছেন। গোপনে বিয়ে করে সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করতেও অস্বীকার জানিয়েছেন। এমনকি ধর্ষণ মামলার আসামিও হয়েছেন। আমরা এ ধরণের চরিত্রহীন লোককে আর কখনো আমাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেব না।
এদিকে ১৩নং ওয়ার্ডে ভোটের মাঠ দখলে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী রবিউল হোসেন। তার সহজ সরল আচরণ আর সাধারণ মানুষের সাথে সহজে মিশে যাওয়ার গুণ তাকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। ভোটাররা রবিউল হোসেনকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তারা চান এমন একজন জনপ্রতিনিধি যাকে সব সময় কাছে পাওয়া যায় আর রবিউল হোসেনের মাঝে সেই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে বলে মনে করেন ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা।