নারায়ণগঞ্জ মেইল: আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। দিন যতো যাচ্ছে আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের উত্তাপ আর কৌতুহল ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের মাঝে। বিশেষ করে সভাপতি পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়েই বেশী বিচার বিশ্লেষন হচ্ছে। তবে এবার আইনজীবীদের মাঝে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি ঝোঁকটা একটু বেশীই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি এড. মোহসীন মিয়ার গ্রহনযোগ্যতা আইনজীবীদের কাছে বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সারা বিশ্ব এখন ঝুঁকে পরেছে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি। চারিদিকে আজ তারুণ্যের জয়গান। বার্ধক্যকে পিছনে ফেলে নেতৃত্বে উঠে আসছে তরুণরা। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এখন উদীয়মান তরুণ আইনজীবী নেতা এড. মোহসীন মিয়া। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আস্থা রেখেছিলেন এই তরুণ আইনজীবীর উপর আর এড. মোহসীনও আইনজীবীদের সে আস্থার প্রতিদান দিয়ে গেছেন নিয়মিত। দলমত নির্বিশেষে আইনজীবীদের যেখানেই কোন সমস্যা হচ্ছে সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন তিনি। ফলে ইতিমধ্যেই নতুন প্রজন্মের কাছে আইকনে পরিনত হয়েছেন বার সভাপতি এড. মোহসীন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের আস্থাভাজন এড. মোহসীন মিয়া ইতিমধ্যেই সাধারণ আইনজীবীদের কাছেও অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে আইনজীবীদের জন্যে ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে যে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন এড. মোহসীন মিয়া, তা অনেকের হৃদয়েই দাগ কেটে গেছে। এক পক্ষের সীমাহীন বিরোধীতার পরেও যে দৃঢ়চেতা মনোভাব আর প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা পুরানো বার ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরীর কাজ শুরু করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে। তাই দলমত নির্বিশেষে সাধারণ আইনজীবীদের কাছে এড. মোহসীন মিয়ার একটি আলাদা অবস্থান তৈরী হয়ে গিয়েছে। যার ফলম্রুতিতে ২০২০/২১ সালের বার নির্বাচনে এড. মোহসীনের নেতৃত্বে আওয়ামী প্যানেলকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিলেন আইনজীবীরা। এবারেও সেই মোহসীনেই আস্থা রাখতে চাচ্ছেন তারা।
বার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই নিরলসভাবে আইনজীবীদের স্বার্থে কাজ করে গেছেন এড. মোহসীন। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের বহু দিনের স্বপ্ন ডিজিটাল বার ভবনের যাত্রা শুরু হয়েছে তার হাত ধরেই। ইতিমধ্যেই বার ভবনের নীচতলায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন সাধারণ আইনজীবীরা। সেই সাথে চলছে দ্বিতীয় তলার সম্পন্ন করার কাজ। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে আইনজীবীদের প্রয়োজনে বারবার ছুটে বেড়িয়েছেন তরুণ এই বার সভাপতি। নিজের জীবনের পরোয়া না করে আইনজীবীদের প্রয়োজনে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন তাদের। আর এভাইে নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে গেছেন সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া।
এছাড়াও আইনজীবীদের স্মার্ট আইডি কার্ড, ওয়েব সাইট ও ডাইরেকটরি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাইরেকটরিতে সকল আইনজীবীদের ছবি সহ সংক্ষিপ্ত পরিচয় থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিজন আইনজীবী সম্পর্কে তথ্য আইনজীবী সমিতির ওয়েব সাইটে দেয়া থাকবে। এতে বিচার প্রার্থী যে কোন সময় আইনজীবীকে মুহুর্তেই খুুজে পাবেন। যে কোন বিচারপ্রার্থী পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে গুগুলে সার্চ দিয়েই নারায়ণগঞ্জের যে কোন আইনজীবীকে খুজে পাবেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের জন্য আরও কার্যকরী হতে যাচ্ছে আইনজীবীদের জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি। আর এর সকল কৃতিত্ব উদীয়মান আইনজীবী নেতা এড. মোহসীন মিয়ার।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয় তলায়। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্যানেলের নেতৃত্বে এবারো থাকছেন বর্তমান সভাপতি এড. মোহসীন মিয়া ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুর রহমান। এ দুই ডায়নামিক আইনজীবী নেতার হাতে এবারেও থাকছে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের দায়িত্ব।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি পদে এড. বরুণ চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক পদে এড. রবিউল আমিন রনি, কোষাধক্ষ্য পদে এড. মনিরুজ্জামান কাজল, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে এড. মো. স্বপন ভূঁইয়া, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে এড. মাহমুদুল হক মমিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে এড. সাজ্জাদুল হক সুমন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে আসাদুল ইসলাম বিপ্লব, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে এড. ইসরাত জাহান ইনা ও আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে এড. নুসরাত জাহান তানিয়া। কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এড. সিরাজুল হক মিলন, এড. শরিফুল ইসলাম, এড. কামরুল হাসান, এড. আবু তাহের রানা ও এড. রোমানা আক্তার।