নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বিভক্তি ক্রমেই প্রকট আকার ধারন করছে। তিনজনের কমিটিতে দুইজন মিলে একজনকে মাইনাসের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। সংগঠনের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব মিলে সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে মাইনাসের সকল চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন আর এরই অংশ হিসেবে খায়রুল ইসলাম সজিব ইউনিট কমিটি গঠনে সাইনিং পাওয়ার নিতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন, এমনকি এর জন্য বিশাল অংকের বিনিয়োগও করেছেন বলে জানা গেছে। তিনজনের সাইনিং পাওয়ার নিতে পারলে সাদেক আর সজিব দুইজনের স্বাক্ষওে ইউনিট কমিটি গঠন করে ফেলবেন তাদের অনুগত লোকদের দিয়ে, তখন মশিউর রনি পরবেন বেকায়দায়- এই আশায়ই সাইনিং পাওয়ারের জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সজিব।
সূত্রে প্রকাশ, গত ২৯ আগষ্ট ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি। সাদেকুর রহমান সাদেককে আহবায়ক, মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব এবং খায়রুল ইসলাম সজিবকে যুগ্ম আহবায়ক করে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিলো। কমিটি ঘোষনার পর থেকে কোনো কর্মসূচিতেই তিনজনকে একসাথে মিছিল করতে দেখা যায়নি। আহবায়ক সাদেক ও যুগ্ম আহবায়ক সজিবের সাথেই দেখা গেছে অন্তরঙ্গতা। এ দুইজন মিলেই বিভিন্ন সভা সমাবেশে শোডাউন করেছেন। সেখানে দেখা মিলেনি সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে। কমিটি ঐক্যবদ্ধ শোডাউন এখনো পর্যন্ত করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ মার্চ ঘোষনা করা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি। গোলাম ফারুক খোকনকে আহবায়ক আর মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয় ভিপি কবিরকে। এর ছয় মাস পর ১৫ নভেম্বর ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি যেখানে সদস্য সচিব করা হয় জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে। ফলে জেলা যুবদলের আহবায়ক পদটি খালি হয়ে যায়। এই ভাঙ্গাচোরা কমিটি দিয়ে কোনো রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিলো জেলা যুবদলের কার্যক্রম। নতুন কমিটি গঠনে তাই সকলে আশা করেছিলো ঐক্যবদ্ধভাবে জেলা যুবদল রাজপথে অবদান রাখবে।