নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন শেষ হয়েছে, মহানগর বিএনপির সম্মেলন ঈদের পরে। ইতিমধ্যেই সকল ইউনিট কমিটির সম্মেলন শেষ হয়েছে। এসব সম্মেলনগুলোতে কয়েকজন রাজপথের ত্যাগী নেতা টাকার কাছে মার খেয়ে গেছেন বলে মনে কওে তৃণমূল। এদের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ ও বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহিন আহমেদ।
তৃণমূলের মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে নির্বাচন হলে সাধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো গোলাম ফারুক খোকন ও মাসুকুল ইসলাম রাজিবের মধ্যে। এমনকি রাজিবের জয়ের সম্ভাবনাই ছিলো বেশি। খোকনের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে রূপগঞ্জের ধনকুবের দিপু ভূইয়া টাকার বস্তা নিয়ে ছোটেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দরবারে। দিপু ভূইয়ার টাকা পেয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও রাজিবকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে একের পর এক চেষ্টা চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে দল থেকে বহিস্কারের হুমকি দিয়ে সম্মেলনে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। দলের স্বার্থে দেশের স্বার্থে রাজিব সব কিছু মেনে নেন। কিন্তু মেনে নিতে পারেননি তার ভক্ত সমর্থকরা। টাকার কাছে রাজপথের অবদানকে হারতে দেখে তৃণমূলের পক্ষে মেনে নেওয়াও সম্ভব হয়ে উঠে না। আর এভাবেই রাজিবের মতো দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতা থাকার পরেও খোকনের মতো একজন নিস্ক্রিয় লোক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান শুধুমাত্র টাকার জোরে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক ছিলেন নুর মোহাম্মদ পনেছ। বিএনপি অন্ত:প্রাণ পনেছের রয়েছে রাজপথে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা, দলের জন্যে অনেক অবদান। বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হওয়ার পর থেকে তিনি থানার অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। কিন্তু থানা বিএনপির সম্মেলনের দিন আওয়ামীলীগ মার্কা বিএনপি নেতা শাহেনশাহের কাছে ভোটে হেরে যান তিনি। তৃণমূল মনে করে শাহেনশাহ’র টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলে সম্মেলনের কাউন্সিলররা, যে কারনে রাজপথের ত্যাগী নেতা পনেছকে হাইব্রিড শাহেনশাহ’র কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহিন আহমেদ। টাকা পয়সা না থাকলেও শাহিন রাজপধের আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় সক্রিয় ছিলেন। এর চন্যে মামলা হামলা জেল জুলুমের শিকারও হতে হয়েছে অসংখ্যবার। কিন্তু সম্মেলনের দিন তিনি হেওে যান হারুনার রশিদ লিটনের কাছে। লিটনের অনেক টাকা শাহিনের সাথে তার নির্বাচনের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে বলেই মনে করে তৃণমূল।