নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাাম মান্নানের সাথে বিতর্কিত লোকদের সুসম্পর্কের খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। রাজপথের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ বা অন্য দলের সাথে সম্পর্ক থাকা ব্যক্তিদের প্রশ্রয়ে অভিযোগ মান্নানের বিরুদ্ধে। তাই তারা মান্নানের এরূপ অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করেছেন এবং এ কারনে আজহারুল ইসলাম মান্নান ইমেজ সংকটে পরতে পারেন বলে আশংকা কশরছেন নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেংগাকান্দি গ্রামের মাসুম রানার সাথে স্থানীয় ইউনিয় পরিষদেও চেয়য়াারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাছাড়া ইসলামী আান্দোলনের হাতপাখা প্রকতীকের পক্ষেও মাসুমকে ভোট চাইতে দেখা গেছে। তাই মাসুমকে সুযোগসন্ধানী বহুরূপি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে স্থানীয় জনগন। সেই মাসুম রানাকে ইদানিং দেখা যাচ্ছে আজহারুল ইসলাম মান্নানের আশেপাশে। মান্নান উপজেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ায় মাসুম ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। মান্নানের পিএস হিসেবে পরিচিত সেলিম হোসেন দিপু মাসুুম রানার কাছ থেকে টাকা খেয়ে মান্নানের সাথে তাকে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের।
এদিকে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেংগাকান্দি গ্রামের মাসুম রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই স্থানীয়দের। মাসুম কখনো বিএনপি কখনো আওয়ামীলীগ আবার কখনো বা হাতপাখার রাজনৈতিক নেতা হয়ে এক এক সময় একেক রূপ ধারণ কওে বলে জানান তারা। হঠাৎ নেতা বনে যাওয়া মাসুম,বিভিন্ন সময় দেখা যায় বিশাল শোডাউন নিয়ে তার নিজ ইউনিয়নে লোকজন নিয়ে মিটিং করে অথচ কোন রাজনৈতিক উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায় না।এলাকার জনসাধারণের কাছে জানা যায় মাসুম খুব চালাক প্রকৃতির লোক। নিজেকে অনেক বড় নেতা পরিচয় দেন তিনি রংধনুর মতো একেক সময় একেক রুপ ধারন করেন। কখনো আওয়ামীগে নৌকার মাঝি হবার স্বপ্নে বিভোর আবার কখনো বিএনপিতে সক্রিয়ভাবে মাঠে দেখা যায়। আবার কখনো হাতপাখার সমর্থনে এলাকায় দোয়া কামনা করেন ‘বৈচিত্রময় চরিত্রের নেতা মাসুমকে।