নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকের এই সভা জনগণের স্বার্থে, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার সভা নয়। এই সভা হলো সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সভা। এই স্বৈরাচারী সরকার দেশকে লুটেপুটে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে আর এ কারণে দেশে আজ দূর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির মধ্যে এই সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে অথচ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমেছে কিন্তু এই অনির্বাচিত সরকার জনগণের কথা চিন্তা না করে জ্বালানি তেলের মূল্য এমন ভাবে বাড়িয়েছে, যে কারণে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যের দাম ডাবল হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকারের এই অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে এবং এই অসংগতিগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে মাসব্যাপী সারা বাংলাদেশে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচি আজকে প্রথম শুরু হলো।
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি এবং পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২২ আগষ্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ আয়োজন করা হয়।
এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, আপনারা জানেন যখন খেলা শুরু হয় মূল খেলা শুরুর আগে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সারাদেশের প্রতিটি থানা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। এভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সারা দেশে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। সেই এক দফার আন্দোলন হবে এই সরকারের পতনের আন্দোলন। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা, দেশের মানুষের ভাতের অধিকার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী এমপি নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। তাদের টাকা সুইস ব্যাংকে জমা হচ্ছে আর এদেশের মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। এখন সময় এসেছে, এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই ১৫ বছরে এই সরকার যেভাবে দেশের মানুষকে শোষণ করে তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে তার হিসাব কড়ায় গন্ডায় উসুল করে নেবে এদেশের জনগণ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকারি দলের কয়েকজন নেতা নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বশীল নেতা, তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আপনারাতো জনপ্রতিনিধি নন, আপনারাতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন নাই। তাই আপনারা জনগণের পক্ষে কথা না বলে জনগণের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আওয়ামী লীগের উচিত ছিলো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করা কিন্তু তারাতো মিডনাইট ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাই তারা জনগণের মুখাপেক্ষী না। জনগণকে পরোয়াও করেনা। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে হিচড়ে নামাবে আর সেদিন বেশি দূরে নয়। আপনাদেরকে ধরে আপনাদের পাচার করা টাকা দেশের জনগণ উদ্ধার করবে। তখন পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।