আবদুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতার অবদান ছিল অপরিসীম। রাজনৈতিক সংকটে রেখেছেন অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের বক্তব্য কী হবে, তা নিয়ে নানাজন তাকে লিখিত-অলিখিতভাবে নানা পরামর্শ দিতে থাকেন। এ ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার পরামর্শই বঙ্গবন্ধু গ্রহণ করেছিলেন- ‘সমগ্র দেশের মানুষ তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এদেশের মানুষ তোমাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। কিন্তু ষড়যন্ত্র কারীরা তোমাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে দিবে না। সবার ভাগ্য আজ তোমার ওপর নির্ভর করছে। সুতরাং তোমার মনে যে কথা আসবে, সে কথা বলবে। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তোমার যে স্বপ্টম্ন সেই কথাগুলো তুমি স্পষ্ট করে বলে দিবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেপথ্য শক্তি, সাহস ও বিচক্ষণ পরামর্শক হয়ে জড়িয়ে আছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেলের সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, সাবেক নারী সাংসদ এড. হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন আহমেদ, উপ- দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল হুদা, উপ- দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন বিএ, আইন বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন পনির, আওয়ামীলীগ নেতা মো. শাহজাহান, আক্তার হোসেন সুকুমসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।