নারায়ণগঞ্জ মেইল: শহরে ইজিবাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও চাষাড়া চত্বরে নিয়মিত চলাচল করছে। পঞ্চবটি খেকে চাষাড়া ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চাষাড়া পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করছে ইজিবাইক। বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের সামনেই চাষাড়া সুগন্ধা বেকারী ও মহিলা কলেজের সামনে ইজিবাইকে যাত্রী তুলছেন চালকরা।
ইজিবাইক চালকরা জানান, কয়েকশ ইজিবাইক চালক চাষাঢ়া থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ ও পঞ্চবটি থেকে চাষাড়া রোডে চলাচল করছেন। প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরেও কিভাবে শহরে ঢুকেন জানতে চাইলে সোহেল বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিয়ে ঢুকতে হয়। দুই শিফটে ৫০ টাকা করে মোট ১০০ টাকা দিয়ে শহরে প্রবেশ করেন তারা। আর এই টাকা উঠানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে লোক দেয়া হয়েছে। অন্য লাইনের গাড়ি আসলে তাদের শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
প্রশাসন নারায়ণগঞ্জ শহরে ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাদের নাকের ডগা দিয়েই সারাদিন অবাধে চলছে এই অবৈধ যানটি। চাষাঢ়ার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সুগন্ধা বেকারীর সামনে রীতিমত ষ্ট্যান্ড বানিয়ে বসেছে তারা। এখান থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রী পরিবহন করছে নিষিদ্ধ ইজিবাইক যা অটো নামে পরিচিত। শহরে নিত্য যানজটের অন্যতম প্রধান কারনও এই ইজিবাইক। সড়কের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী উঠানামা করানোর ফলে ব্যস্ত এই সড়কে প্রদিনিই যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে এ পথে চলাচলরত জনসাধারনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে খানপুর হাসপাতাল পর্যন্ত ও পঞ্চবটি থেকে অট্টো অফিস পর্যন্ত ইজিবাইক চলাচল করার কথা থাকলেও তা নির্বিঘ্নে ঢুকে পরছে শহরে। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন টাকা নিয়ে অবৈধ ইজিবাইককে শহরে প্রবেশাধীকার দিচ্ছেন এই অসাধু পুলিশ সদস্যরা। তাদের এই কাজে সহযোগী হিসেবে রয়েছে শহরের কয়েকজন লোক।
শহরে প্রবেশ করায় ব্যাটারি চালিক রিক্সা আটক করছে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে কয়েকজন দালাল। যারা এই রুটে চাঁদা দেয় না তাদের আটক করে জরিমান আদায় করা হয়।
এব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।