উচ্ছেদের পরেও বহাল সিএনজি ষ্ট্যান্ড, প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন

নারায়ণগঞ্জ মেইল: মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে রমজানের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সমস্যা যানজট দুর করতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন। তার মধ্যে শহরের ফুটপাত থেকে অবৈধ হকার উচ্ছেদ ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ সকল প্রকার অবৈধ যানবাহন শহরে প্রবেশ করা বন্ধ করে দেয়ায় সাথে সাথেই ফল মিলেছে। গত কয়েকদিন যাবত শহরে নেই সেই অসহনীয় যানজট। নগরবাসী স্বস্তিতে বঙ্গবন্ধু সড়কে চলাফেরা করতে পারছে। এ জন্যে তারা প্রশাসনকে ধন্যবাদও দিচ্ছে।

এদিকে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে গত দুদিন ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও বহাল তবিয়তেই রয়ে গেছে চাষাঢ়ায় অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড। শহরে যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ এই অবধ সিএনজি ষ্ট্যান্ডগুলো উচ্ছেদ করা না হলে প্রশাসনের সকল অর্জন ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই নগরবাসীর স্বস্তির চলাচল নিশ্চিত রাখতে এসকল অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ডগুলো দ্রুত উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

সচেতন মহল মনে করছেন, শহরের যানজটের অন্যতম কারণ শহরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা পরিবহন স্ট্যান্ড। শহরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা পরিবহন স্ট্যান্ড উচ্ছেদে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার উদ্যোগ না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একই সাথে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। মূলত শহরের অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ডগুলো থেকে যে চাঁদা আদায় করা হয় তার একাংশ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, বিএনপির নেতা, কতিপয় পুলিশ সদস্য এমনকি সিটি কর্পোরেশনের অসাধু কর্মকর্তা ভাগ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই বার বার অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হুংকার দিলেও বাস্তবে স্থায়ী কোন সমাধান মেলেনি। আর এ কারনেই নারায়ণগঞ্জ শহরে যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ডের এখন ছড়াছড়ি। যেখানে সেখানে স্ট্যান্ড গড়ে তুলে নিয়মিত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কয়েকটি অবৈধ যানবাহন স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। এই সকল স্ট্যান্ড শহরের যানজটে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও পকেট ভারী হচ্ছে কতিপয় পরিবহন চাঁদাবাজদের।

বিশেষ করে চাষাড়া চত্বরের তিনটি পয়েন্টে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা লেগুনা ও সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিটি লেগুনা থেকে দিনে আড়াইশ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে জানাগেছে। এছাড়াও জিমখানা ইজিবাইকের স্ট্যান্ড থেকে প্রতি গাড়ি প্রতি ১৬০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এই চাদাঁর একাংশ সদর মডেল থানা পুলিশের পৌঁছে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত ছয়টি স্ট্যান্ডের বিপরীতে শহর জুড়ে গড়ে উঠা ২২টি অবৈধ স্ট্যান্ড শহরকে পরিনত করেছে স্ট্যান্ডের নগরী হিসেবে। আর এইসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে নগর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে নগরবাসী। তীব্র যানজটের কবলে পড়ে মানুষের শ্রম ঘন্টা তো যাচ্ছেই, জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অতি মূল্যবান সময়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ