নারায়ণগঞ্জ মেইল: হত্যা মামলা সহ একাধীক মামলার আসামী ফতুল্লার বক্তাবলী লক্ষীনগর এলাকার ডাকাত আলমগীরের মৃত্যুর পর এলাকাতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ একাধীক অপকর্মের হোতা এই আলমগীরের ভয়ে এতোদিন কেউ মুখ খুলতে না পারলেও গনপিটুনীতে নিহত হবার পর তার বিরুদ্ধে মুখ খোলা শুরু করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর লক্ষীনগর এলাকার হযরত আলীর ছেলে। স্থানীয়ভাবে তাকে সকলের মন্দ মানুষ হিসাবেই জানতো। চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা সহ এলাকায় এলাকাধীক অপকর্মে বেড়াতো তিনি। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই নানা অত্যাচারের শিকার হতে হতো সাধারণ মানুষদের। গত কিছুদিন আগে ডাকাতি করতে গিয়েই গণপিটুনীর শিকার হয়ে হাসপাতালে মারা যায় আলমগীর। এর পর থেকেই মানুষের মনে স্বস্থির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি জানান, বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামই শান্তিপূর্ন গ্রাম। কিন্তু ২/৪ জন বিতর্কিত ব্যক্তির কারণে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হতো বিগত দিনে। আলমগীর একজন বাজে মানুষ ছিলেন, সে তার প্রাপ্ত শাস্তি পেয়েছে। মানুষ অতিষ্ট হয়ে তাকে গণপিটুনী দিয়েছে। আলমগীর যদি বাজে মানুষ না ই হতো একজন জনপ্রতিনিধিকে হত্যার উদ্দেশ্যে কেনো ছুরি দিয়ে আঘাত করলো? আর যেখানে ইউনিয়নের একজন মেম্বার তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা আর শোচনীয় বলেই জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হত্যা, পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্ঠা সহ একাধীক মামলার আসামী ছিলো নিহত আলমগীর। গত ২১ মার্চ সকালে বক্তাবলীর ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর আহত করেন এই আলমগীর। এ সময়ে ইটভাটার শ্রমিকদের সাপ্তাহিত হাজিরার ৫লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাবার সময় ইটভাটা শ্রমিক ও আশপাশের গ্রামবাসীর গণপিটুনীর শিকার হয় তিনি। আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ১শ শয্যা হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) আনলে সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। পরদিন সকালে আলমগীর মারা যায়।