নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনে থাকা ৫টি থানা ও ৫টি পৌরসভায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ এ কমিটির অনুমোদন দেন।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামুন মাহমুদ। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ১০টি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম প্রধান ইউনিট ফতুল্লা থানা বিএনপি’র নেতৃত্বে এসেছেন ক্লিন ইমেজের জাহিদ হাসান রোজেল এবং শহীদুল ইসলাম টিটু। তৃণমূল থেকে রাজনীতির প্রতিটি ধাপ পার হয়ে তরুণ প্রজন্মের এই দুই নেতা নেতৃত্ব পাওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ ঝিনিয়া থাকা ফতুল্লা থানা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নতুন করে চাঙ্গা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনগুলোর সফল নেতৃত্ব দেওয়ার পরে মূল দলের নেতৃত্বে রোজেল-টিটু জুটি গণজাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস নেতাকর্মীদের।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফতুল্লা থানা বিএনপি’র নবনিযুক্ত আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল নারায়ণগঞ্জ মেইলকে জানান, ফতুল্লা থানা বিএনপি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আমাকে সহ ৩১ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় একটি সুন্দর কমিটি গঠনে আমরা বদ্ধপরিকর। আহ্বায়ক কমিটি খুবই ছোট মাত্র ৩১ সদস্যের হওয়ায় হয়তো অনেককে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও স্থান দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সবাইকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে আমরা সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করছি। সকলের প্রচেষ্টায় ফতুল্লা থানা বিএনপি আবারও তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফতুল্লা থানা বিএনপি’র নবনিযুক্ত সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটু নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র নেতৃত্ব পাওয়ায় পরম করুণাময়ের কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। সেই সাথে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়া ত্যাগী নেতা কর্মীদের নিয়ে সুন্দর একটি কমিটি গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এক্ষেত্রে কে কোন ভাইয়ের লোক সেটা বিবেচনা করা হবে না। যারা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তারাই আগামী দিনে ফতুল্লা বিএনপিকে নেতৃত্ব দেবে। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা ফতুল্লাকে পুনরায় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে শাহ আলমের পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে দেয়া হয়েছিলো সেই কমিটি। এর একদিন পরই নতুন করে ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ নতুন এ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন।
কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে আহ্বায়ক ও নজরুল ইসলাম পান্নাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
গঠিত আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেছিলেন, ‘যেহেতু ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে শাহ আলম পদত্যাগ করেছেন, সে জন্য সেই কমিটি বিদ্যমান রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করছি না। সেই কমিটি চলতে থাকলে দলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। সেই বিবেচনায় আমরা পুরাতন কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছি।’