নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ঐক্য ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছে বিদ্রোহী গ্রুপ। নানাভাবে চেষ্টা করেও তারা সফল হতে পারেনি। আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আর ইউসুফ খান টিপুর দক্ষ নেতৃত্ব আর মূলধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারনে বিদ্রোহীদের শত চেষ্টা বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। সকল বাঁধা বিঘ্ন উপেক্ষা করে মহানগর বিএনপি এখন নারায়ণগঞ্জের রাজপথে ঝড় তুলছে নিয়মিত।
ঘঁনার বিবরনে প্রকাশ, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ঘোষনা করা হয় ৪১ সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি। এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক এবং এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষনার পর থেকেই কমিটির বিরোধীতা করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সবচেয়ে বিতর্কিত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। কমিটি ঘোষনার কয়েকদিনের মধ্যেই বহিস্কৃত বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন মুকুলের নেতৃত্বে ১৪ জন বিএনপি নেতা। এরপর থেকে মুকুলের নেতৃত্বে কিছু বিশৃঙ্খল নেতাকর্মী আলাদা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দলের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করতে থাকে। দলের এই চরম ক্রান্তিকালে যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন তখন সরকারী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দলের মাঝে বিভেদ বিভক্তি সৃষ্টির পায়তারা করছেন মুকুল। ইতিপূর্বে মুকুলের অতীত কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে তৃণমূল মনে করছে স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমানের প্রেসক্রিপশনেই বিএনপিকে দুর্বল করতে মাঠে নেমেছেন মুকুল। সেলিম ওসমানের আজ্ঞাবহ এই বিএনপি নেতা দলের ঐক্য বিনষ্ট করতে মহানগর বিএনপির আওতাধীন তিনটি ইউনিট কমিটির পাল্টা কমিটি ঘোষনা করেন। মুকুলের এই কাজে ফুঁসে উঠে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কারন তারেক রহমানের দেয়া কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কাউকে তারা মেনে চায় না। আর এসময়ে দলের ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টাকে তারা ভালো চোখেও দেখছেনা। তৃণমূলের সর্বাত্মক প্রতিরোধের মুখে হাল ছেড়ে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান বিদ্রোহী গ্রুপের নেতারা।
বিদ্রোহী গ্রুপের সকল বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুইজন। তারা মহানগর বিএনপির আওতাধীন ইউনিট কমিটিগুলো গঠনের লক্ষ্যে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে থাকেন। নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরের প্রতিটি অলিগলি ঘুরে ঘুরে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাছাই করে একটি গ্রহনযোগ্য কমিটি গঠনের জন্যে কাজ করেন। এ লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিটি সম্মেলনে তারা উপস্থিত থেকেছেন, ঘরে বসে কমিটি ঘোষনার সংস্কৃতিকে বিদায় জানিয়ে নিজেদের নিয়ে গেছেন অসামান্য উচ্চতায়। অতীতে যা ঘটেনি তাই করে দেখিয়ে দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।