নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকার ভররাডুবি হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ মাসুুদ বাবুর কাছে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী সোহাগ রনি ১১৩২ ভোটে পরাজিত হন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফ মাসুদ বাবু (আনারস প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৯৯। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোহাগ রনি ( নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৭ ভোট। নৌকার এই ভরাডুবির পেছনে ভুল প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দেওয়াই মূল কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফ মাসুদ বাবু। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলীয় প্রতীক নৌকার প্রধান দাবিদার ছিলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকেও এককভাবে বাবুর নামই নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশে সে তালিকায় সোহাগ রনির নাম অন্তর্ভূক্ত করে দুইজনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কেন্দ্র থেকে সোহাগ রনিকে নৌকার প্রার্র্থী হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
স্থানীয়ভাবে ভীষন জনপ্রিয় আরিফ মাসুুদ বাবুু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এবং নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করেন। আরিফ মাসুদ বাবুর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কাছে হার মানে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক। তাই স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, বাবুকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলে আওয়ামীলীগের এই ভরাডুবি দেখতে হতো না।
জানা যায়, সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য আরিফ মাসুদ বাবু। বিগত সময়ে তার ছিলো ক্লিন ইমেজ আর সাধারণ মানুষের সাথে সুুসম্পর্ক। তাই ভোটের মাঠে তিনিই এগিয়ে ছিলেন। অপরপক্ষে নৌকার প্রার্থী সোহাগ রনির বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতাসহ একাধীক অভিযোগ ছিলো স্থানীয়দের। সোনারগাঁবাসীর মতে, এক সময়ের সহায় সম্বলহীন সোহাগ রনি রাজনীতির বাঁকা পথে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, যা ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলেছে।