মাদকের ডন কাউন্সিলর রুহুল!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা’র বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এমনকি কাউন্সিলর রুহুলের আপন ভাই মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে গ্রেফতারে অনীহা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের। বিভিন্ন সময় কাউন্সিলর রুহুলের নানা অপকর্মের তথ্যসহ সংবাদ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে প্রকাশ করা হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এতে করে এলাকায় দিন দিন তার প্রভাব বেড়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার কাউন্সিলর রুহুল আমিনের অন্যতম সহযোগী মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে কাউন্সিলর রুহুল। তার শেল্টার থাকায় ৮নং ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে পারে না পুলিশ। গত প্রায় ৬/৭ মাস আগেও কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা’র আপন বড় ভাই খোকন মোল্লা এক ভিডিও বার্তায় দাবী করেছিলেন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মাদক ব্যবসা করেন। ৮নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাউন্সিলর রুহুলের পক্ষে খোকন মোল্লা হিসাব রাখতেন এবং মাদক ব্যবসার টাকা রুহুলের হাতে পৌঁছে দিতেন।

খোকন মোল্লার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। পরবর্তিতে খোকন মোল্লার বিরুদ্ধে নিজের মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিল কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। স্বার্থের জন্য নিজের পরিবারের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে একটু চিন্তা করেন না কাউন্সিলর রুহুল। সর্বশেষ কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার সহযোগী মমিনুল আলম পুষণ ওরফে বাবা পুষণকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শনিবার বিকাল ৪ টায় নিজ বাসা থেকে মাদক মামলার পলাতক আসামী পুষণকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরই পুষনকে ছাড়িয়ে আনতে ডিবি কার্যালয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর রুহুল।

এলাকাবাসী জানায়, একাধিক মামলার আসামী বাবা পুষণ কাউন্সিলর রুহুলের ছত্র ছায়ায় পশ্চিম এনায়েতনগর ও লাকী বাজার এলাকায় জমজমাট ইয়াবা ও জুয়ার আসর চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এছাড়াও এলাকায় নতুন কেউ জমি কিনলে এবং বাড়ি করতে গেলে বাবা পুষণকে চাঁদা না দিলে কাউন্সিলর রুহুলকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক বাড়ির মালিক। সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নিয়ে ওয়াসার পানির সংযোগ নিতে গেলেও বাবা পুষণকে খুশি করতে হয়। পুষনের মত অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ী রুহুলের শেল্টারে রয়েছে। আর এমন অভিযোগ করেছেন, খোদ তার আপন বড় ভাই।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাসিক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা ও তার সহযোগী মোমিনুল আলম পুষণসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন এক ব্যবসায়ী। পরে ঐ ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হুমকি ও মারধর করা হয়েছে বলে জানাগেছে। আর সেই ঘটনার একটি অডিও রেকর্ড সংগ্রহে রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ