নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলাধীন ধামঘর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মালিভিটা এলাকার দরিদ্র আকলিমা বেগমের শেষ সম্বল ভিটাবাড়ির ৪ শতাংশ জমি অবৈধ ভাবে দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে ভূমিদস্যু আলী আজগর। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের আত্মীয় পরিচয়ে ভূমিদস্যু আজগর অসহায় এই পরিবারটিকে ভিটেছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে। রিকশাচালক নাসির উদ্দিনের স্ত্রী আকলিমা বেগমের এই সামান্য সম্পত্তি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যু আলী আজগর এবং তাকে এই কাজে সেল্টার দিচ্ছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে পরিবারটিকে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তারা। ভূমিদস্যু আলী আজগরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আকলিমা বেগমের পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন- এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী আকলিমা বেগমের।
ভূমিদস্যু আলি আজগরের অত্যাচারের শিকার অসহায় আকলিমা বেগম জানান, তার ৪ শতাংশ ভিটেবাড়ি দখল করার জন্য ভূমিদস্যু আলী আজগর ও তার দুই ছেলে শাহজালাল ও শাহ আলী বহুবার তাদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ বিষয়ে বন্দর থানায় একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে কিন্তু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া থাকায় ভূমিদস্যু আলী আজগরের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং আমাদের বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল ভূমিদস্যু আলী আজগর কিন্তু আদালতে তিনটি মামলাই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আমরা খালাস পাই।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের ভগ্নিপতি আলী আজগর আমার জায়গায় ঘর উঠিয়েছে জোর করে। আমার চারপাশে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে চারপাশের নোংরা ময়লা পানিতে আমার ঘরবাড়ি ডুবে আছে। আমাকে বের হওয়ার রাস্তাও দিচ্ছে না। আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা, বাড়িতে ঢুকতেও পারছি না। আমার বাড়ির সকল রাস্তা সে বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি এলাকার বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা এনে আমার ঘরের সামনে ফেলে যাচ্ছে। কোন প্রতিবাদ করতে গেলেই আলী আজগর ও তার দুই ছেলের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে আমাদেরকে। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফুরউদ্দিন নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, আলী আজগর অন্যায়ভাবে অসহায় পরিবারটির সম্পত্তি দখল করে নেয়ার চেষ্টা করছে। সে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের ভগ্নিপতি, তাকে নানাভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। অনেকবার বসেছি তার সাথে কিন্তু কিছুতেই তাকে ফেরানো যাচ্ছে না। বরং এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আমার উপরেও নানা ধরনের হুমকি এবং ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি এই অসহায় পরিবারটিকে রক্ষার আবেদন জানাই।
এ বিষয়ে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং এ বিষয়ে কোনো কথা তিনি শুনবেন না বলে প্রতিবেদককে জানিয়ে দেন।