আঁধার কাটিয়ে নতুন ভোরের প্রত্যাশায় ঈদ-উল-আযহা

নারায়ণগঞ্জ মেইল: ঈদুল আজহা আসে ত্যাগের মহিমা নিয়ে। গত বছরের মতো এবারও এ ঈদ এসেছে করোনার চলমান অতিমারির দুঃসহ সময়ে। এবারও অনেকের জীবনে ঈদের আনন্দে ছায়া ফেলছে অতিমারির নানা দুঃসংবাদ।

করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর এবারও দেশজুড়ে দেখা দেয় উদ্বেগ। সংক্রমণ আর প্রাণহানির সংখ্যা ওপরে উঠতে থাকায় সরকার আবারও গত বছরের মতো লকডাউন ঘোষণা করে। এপ্রিলের মাঝামাঝি লকডাউন শুরু হয়। ঈদের কেনাকাটার জন্য জুলাই মাসের ১৫ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যবিধি আর নিয়মকানুন মেনে লকডাউন শিথিল করা হয়। তবে বিপণিবিতানে ঈদের উপচানো আনন্দের সেই ভিড় আর ব্যস্ততার দৃশ্য আর ফিরে আসেনি। ঈদের ব্যবসায় এবারও ছিল মন্দা।

ঈদ-উল আযহায় আমজনতার ঈদের মেজাজই আলাদা। মেজাজ বিগড়ে দেওয়া যানজট ঠেলে এ হাট সে হাট ঘোরা, তুমুল দর–কষাকষি করে পছন্দের পশুটি কিনে জয়ীর অনুভূতি নিয়ে ঘরে ফেরা, সাধ আর সাধ্যের সমীকরণ মেলানোর জন্য গলদঘর্ম হওয়া, মসজিদে আর ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করে পশু কোরবানি। করোনার ঊর্ধ্বগতি সে আনন্দে বাদ সেধেছে। গত বছরের মলিন ঈদে অনেকে প্রত্যাশা রেখেছিলেন পরের বছরের করোনাবিহীন ঈদের অমলিন আনন্দে। তাঁদের প্রত্যাশা ভঙ্গ হয়েছে।

মানুষ তবু স্থির হয়ে থাকে না, তারা চলমান। ঘরের মধ্যেই সবাই তৈরি করে নেবে ঈদের আনন্দময় পরিসর। পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নেবে নিকটজনদের উষ্ণতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোঁজ নেবে প্রিয় মানুষদের, টেলিভিশন আর অন্তর্জালের রঙিন বিনোদনের দুনিয়ায় মন সঁপে দেবে।

আরও থাকবেন কেউ কেউ, তাঁরা বের হয়ে আসবেন এই দুঃসময়ে যারা অসহায়, তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে। কাউকে সহায়তা করবেন চিকিৎসায়, কাউকে দেবেন খাদ্য বা বস্ত্র, পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন কোনো আর্ত মানুষের। তাঁদের ব্যক্তিগত ঈদের আনন্দ মিশে যাবে অন্য আরও অনেকের স্বস্তি আর আনন্দের সঙ্গে। সংযমের কঠোর সাধনার পর ঈদের উৎসবের সৌন্দর্যই মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগে। সবার প্রত্যাশা, ঈদ স্বস্তি আর আনন্দের সৌন্দর্য নিয়েই যেন এসেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ