আনোয়ার-সাগর গ্রেফতারে সাহেদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চিটাগাং রোড এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘচনায় গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাগর প্রধানসহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীর নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাহেদ আহমেদ। সেইসাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। রবিবার (৩০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।

 

উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৪২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলা ৭জন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার ( ৩০ জুলাই ) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলা নং- ৫৬।

 

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমন, মহাসড়তে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও নাশকাতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমামলায় গ্রেপ্তার ৭জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জানান তিনি।

 

গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফারুক, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সদস্য ইউসুফ আলী, মুন্সিগঞ্জ জেলা গজারিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু, মুন্সীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবুল হাসেম ।

 

 

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মো. সুবেদ আলী, সোলাইমান পলাশ, আনোয়ার হোসেন সানি, জাকির হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা আতিক টেম্পু আতিক, আতিকুর রহমান প্রধান কামরুল হাসান সেন্টু , জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত। অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

 

 

এদিকে গ্রেফতার আসামিদের বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হলে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ওসি মো. আসাদুজ্জামান।

 

 

জানাগেছে, শনিবার ( ২৯ জুলাই ) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড শিমরাইল ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে পুলিশ সর্টগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৮জনকে আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিস থেকে এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ